• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
জাতীয় শোক দিবস আজ

জাতীয় শোক দিবস

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

জাতীয় শোক দিবস আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ আগস্ট ২০১৮

আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার।’

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ এবং তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি। প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’

জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে চলতি মাসের প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে। এবারো সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এ দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।

সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং সশস্ত্রবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। এ ছাড়া ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া করবেন। সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসটি উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব কর্মসূচি পালন করবে।

সারা দেশে মসজিদে বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার স্থাপিত হবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিশু একাডেমি এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থা ও দফতরের মাধ্যমে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, নিরীক্ষা, নবারুণ, সচিত্র বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোয়ার্টারলির বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, স্মরণিকা ও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্টের আলাদা দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads