ইলিশের উৎপাদন বাড়লে রপ্তানি সম্ভব : মৎস্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০৪
-67f502ca726ba.jpg)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশের বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে, প্রথমে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের জনগণের জন্য ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা। তিনি জানান, জাটকা নিধন বন্ধ হলে এবং উৎপাদন বাড়াতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ইলিশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। জাটকা সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে তিনি ক্ষতিকর জাল উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল বেলস্ পার্কে 'জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান।
ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশের উৎপাদনের মূল এলাকা বরিশাল এবং ভোলা। দেশের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৬৫.৮৮ শতাংশ আসে বরিশাল বিভাগ থেকে এবং বরিশাল জেলার ভোলাতেই সবচেয়ে বেশি ইলিশ উৎপাদিত হয়। তিনি আরও জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে জেলেরা সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন। জাটকা সংরক্ষণকালীন জেলেদের খাদ্যসহায়তা বাড়ানোরও প্রচেষ্টা চলছে।
এ সময় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড (ভোলা) জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, খুলনা অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন আজাদ, নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বক্তৃতা করেন।
এছাড়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে একটি বর্ণাঢ্য নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট থেকে শুরু হয়ে চরমোনাইয়ে গিয়ে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২০টি ইলিশ সমৃদ্ধ জেলায় 'জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫' উদযাপিত হবে। এই জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট এবং সিরাজগঞ্জ।