Logo

সারাদেশ

মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০৭

মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি সাগর থেকে দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১১ জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্রলার মালিক সমিতির অভিযোগ, বাংলাদেশ জলসীমানা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘আরও দুটি মাছ ধরার নৌকা নিখোঁজ থাকার খবর রয়েছে। তবে সেগুলো ধরে নিয়ে গেছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি এলাকায় বাংলাদেশ জলসীমানায় মাছ শিকারের সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি এপারে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১১ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে আমার ট্রলারও রয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি নৌকাসহ জেলেকে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি, তবে সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি।’

‘বার বার এ ধরনের ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাছাড়া এটি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’, বলেন তিনি।

এ বিষয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে সেগুলো কোনো ঘাটের নৌকা তা জানা যায়নি। তাছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আমার এলাকার বেশ কয়েকটি নৌকাকে ধাওয়া করেছিল আরাকান আর্মি।’

ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।’

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুরুল কায়েছ বলেন, ‘প্রায়ই জেলেদের মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে আমরা খুব চিন্তিত। এটি সমাধান না হলে জেলেরা মাছ শিকারে যাবে না।’

  • ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর