-682db7f2aa18d.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী-মুন্সীগঞ্জ প্রধান সড়কের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বালিগাঁও বাজার। তবে বাজার এলাকায় যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিং ও ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল ওঠানামার কারণে প্রতিদিনই যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে।
এ সড়ক দিয়ে পদ্মাসেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও পূর্বাঞ্চলের লক্ষাধিক যাত্রী যাতায়াত করে। রাজধানীতে না গিয়ে শর্টকাট রুট হিসেবে ব্যবহৃত এ পথের ওপর চাপ বাড়ায় ভোগান্তির মাত্রাও বাড়ছে দিনদিন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, ৯০-এর দশকে লৌহজং উপজেলার দিঘলী বাজার বিলীন হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বালিগাঁও বাজারের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। ডহরি-তালতলা খালের (ইছামতি নদী) তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা এ বাজারে বর্তমানে সপ্তাহে দুইদিন-শুক্রবার ও সোমবার বসছে জমজমাট হাট। লৌহজং, সিরাজদিখান ও টঙ্গীবাড়ীর বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ আশেপাশের এলাকা থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ছুটে আসেন এ হাটে।
হাটবারে বাজারজুড়ে চোখে পড়ে মৌসুমি দেশি শাক-সবজি, ফলমূল, গাছ, হাঁস-মুরগি, কবুতর, মাছ, দেশি লোচা থেকে শুরু করে তালার চাবি বানানো, ছাতা মেরামত, বাঁশের খাঁচা, পলো, শীতল পাটি, গোগলা, নানান হস্তশিল্প। রয়েছে পেঁয়াজ-রসুন-আলুর পাইকারি আড়ৎ, আখ ও খেজুরের গুড়, সার-বীজ, মসলার দোকানও।
নদীতীরবর্তী এ বাজারে রয়েছে কাঠ ও বাঁশের বড় আড়ৎ। রয়েছে গাছ চেরাইয়ের স মিল। কাঠ ব্যবসার জন্য দেশজুড়ে পরিচিত বালিগাঁও বাজারে বরিশাল অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ৯০-এর দশকের আগ থেকেই নিয়মিত আসেন। নদীপথ ও সড়কপথে সহজে আসা-যাওয়ার সুবাদে এ হাটে ক্রমাগত বাড়ছে ক্রেতার ভিড়।
এছাড়া এখানকার ঐতিহ্যবাহী বিক্রমপুরের মিষ্টি, দই ও রসমালাইয়ের সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। হাটে আসা আমজাদ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, বালিগাঁও বাজারের বয়স এক শতাব্দীর বেশি। এখানকার মাটি, পণ্য আর মানুষের আন্তরিকতাই এর প্রাণ।
হাট ঘিরে টঙ্গীবাড়ী ও আশপাশের উপজেলার ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে বালিগাঁও বাজার। ক্রমবর্ধমান জনসমাগম ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাজারসংলগ্ন সড়ক প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অন্যথায় ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটি শৃঙ্খলাবিহীন যানজটের কবলে পড়ে কার্যকারিতা হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
এমবি