-67c828e289abb.jpg)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৫ মার্চ) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর মতো যথেষ্ট প্রমাণ সরকারের কাছে আছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু তিনিই নন, তার এবং তার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
সম্প্রতি আয়না ঘর দর্শনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, আয়না ঘরগুলো যখন আপনি নিজের চোখে দেখবেন এবং নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে, কতটা ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, আয়না ঘরগুলো সেনাবাহিনীর আওতাধীন। তাই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। তবে এগুলোকে ভবিষ্যতে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে জনগণ সেখানে গিয়ে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের প্রায় সবাই এসব অপকর্মে জড়িত ছিল। তাই সহজে আলাদা করে বলা সম্ভব নয় যে কারা এসব মানবতাবিরোধী কাজ স্বতস্ফূর্তভাবে করেছে, আর কারা চাপে করেছে; কিংবা কেউ আসলে তৎকালীন সরকারকে এই কাজে অসহযোগিতা করেছে কিনা।
শেখ হাসিনার বিচারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, তিনি বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই। তাই এখন প্রশ্ন হলো, আমরা তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারব কি না। এটি নির্ভর করছে ভারতের ওপর এবং আন্তর্জাতিক আইনের ওপর।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানানো হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তারা কোনও সাড়া দেয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যাই হোক, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসুক আর না আসুক, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে, তার মধ্যে পুরো বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, এ সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা এগিয়ে যাবে। কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তি দেওয়া হবে, কিছু বিচার চলমান থাকবে এবং কিছু অপরাধীকে শনাক্ত করাও সম্ভব হবে না।
এমএইচএস