• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
 পশ্চিমাদের সাবধানী হওয়ার আহ্বান জাপানের

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন

সংরক্ষিত ছবি

বিদেশ

উত্তর কোরিয়া ইস্যু

 পশ্চিমাদের সাবধানী হওয়ার আহ্বান জাপানের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০১৮

উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ এবং নজরদারি জারি রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুনোরি অনোদেরা। উত্তর কোরিয়ার চুক্তি ভঙ্গ করার দীর্ঘ ইতিহাস আছে বলেও মনে করেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

১৯৯৪ সালে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল উত্তর কোরিয়া। কিন্তু তার পরও গোপনে দেশটি পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যায় এবং ক্রমশ পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠে। গত বছরেও দেশটি বেশ কয়েকটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ওই পরীক্ষার পরই যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সক্ষমতা নিয়ে।

অনোদেরার মতে উত্তর কোরিয়া বর্তমানে যে ব্যবহার করছে তাতে তারা মাত্র আলোচনায় আগ্রহী হয়েছে। আর এজন্য এখনই দেশটিকে পুরস্কৃত করা ঠিক হবে না বলেও তিনি মনে করেন। জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে মিলছে না। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সং ইয়ং মো জানান, ‘অতীতে আমরা উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম বলেই যে তারা ভবিষ্যতেও প্রতারণা করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবে যদি আমরা চিন্তা করি তবে তাদের সঙ্গে কোনোদিন মধ্যস্থতা করতে পারব না এবং শান্তি আসবে না।’ কিছুদিন আগেই নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প-কিমের বৈঠক অনুষ্ঠিত না হলে বা দেরি হলে চীনের লাভ হবে। কিন্তু সেই চীনও আসন্ন সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র প্রসঙ্গে আলোচনা সফল হলে একে ১৯৮৯ সালের মালটা সম্মেলনের সঙ্গে তুলনা করা হবে। বার্লিন দেয়াল ভেঙে ফেলার এক মাসের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন নেতা মিখাইল গর্বাচেভের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে। ওই আলোচনা শেষে ট্রাম্প জুনের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরে কিম জং উনের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার নিশ্চয়তা ব্যক্ত করেন। সম্প্রতি ট্রাম্প ১২ তারিখের বৈঠক বাতিল করে এক চিঠি লিখেছিলেন কিম জং উন বরাবর। এর বিপরীতে কিম ইয়ং চোল ট্রাম্পকে লেখা উত্তর কোরীয় নেতার একটি চিঠি নিয়ে আসেন হোয়াইট হাউজে। তিনি নিজ হাতে ট্রাম্পকে সেই চিঠি দেন। যদিও কিম চিঠিতে কি লিখেছেন তা এখনো জানা যায়নি।

উনের হোটেল ভাড়া দিবে কে?

চলতি মাসের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের হোটেল ভাড়া কে দেবে তাই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করতে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এই আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্ব হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জো হাগিনের ওপর। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে আছেন চিফ অব স্টাফ কিম চ্যাঙ সন।

এনডিটিভি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের সময় কিম জং উন থাকবেন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার পছন্দের ফাইভ স্টার হোটেলে। কিমের হোটেলের ভাড়া যুক্তরাষ্ট্র দিতে চাইলে তা উত্তর কোরিয়া অপমান হিসেবে নিতে পারে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আয়োজক দেশ সিঙ্গাপুরকেই হোটেল ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। ট্রাম্প এবং কিম সিঙ্গাপুরের ফুলারটন হোটেলে রাত্রিযাপন করবেন। ওই হোটেলে একটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের ব্যয় প্রতি রাতে ছয় হাজার ডলার।

২০১৮ সালের উইন্টার অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার চিয়ারিং স্কোয়াড এবং অন্য প্রতিনিধিদের আপ্যায়নের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় দুই দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ক্রীড়াবিদদের ভ্রমণের পুরো অর্থ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads