• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ট্র্যাকেও হতাশ করলেন অ্যাথলেটরা

৪০০ মিটার স্প্রিন্টে পেছনের দিকে বাংলাদেশের আবু তালেব (ডান থেকে দ্বিতীয়)

সংগৃহীত ছবি

অ্যাথলেটিকস

ট্র্যাকেও হতাশ করলেন অ্যাথলেটরা

  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৮

কবিরুল ইসলাম, ইন্দোনেশিয়া থেকে

কাবাডি, হকি, ভারোত্তোলন, কুস্তির পর এশিয়ান গেমস অ্যাথলেটিকসেও হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। হিট রাউন্ড থেকেই বাদ পড়তে হয়েছে দুই স্প্রিন্টার আবু তালেব ও সুমি আক্তারকে। এশিয়াড অ্যাথলেটিকসে কখনোই পদকের আশা থাকে না বাংলাদেশের। নিজেদের সেরাটা দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের বড় মঞ্চ হিসেবেই এ আসরকে বেছে নেয় লাল-সবুজরা। একই সঙ্গে এশিয়ার সেরা অ্যাথলেটদের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা থাকে। এবারো এর ব্যতিক্রম ছিল না। এশিয়ান গেমসের অ্যাথলেটিকসের পুরুষ ও মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌড় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য আবু তালেব ও সুমি আক্তার এসেছেন ইন্দোনেশিয়ায়। গতকাল সকালে ট্র্যাকে নেমেছিলেন সেনাবাহিনীর অ্যাথলেট আবু তালেব। কিন্তু ট্র্যাকে নেমেই লজ্জায় ডুবিয়েছেন দেশকে। ২৮ জনের মধ্যে হয়েছেন ২৭তম! সময় নিয়েছেন ৫০.৯৭ সেকেন্ড সময়! শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় হয়ে ফিরেছেন ট্র্যাকের বাইরে। আরেক স্প্রিন্টার সুমি আক্তারও সুবিধা করতে পারেননি ট্র্যাকে।

গতকাল জিবিকে মেইন স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ১১টায় ৪০০ মিটার দৌড়ে ট্র্যাকে নামেন বাংলাদেশি অ্যাথলেট আবু তালেব। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন তিন নম্বর লেনে। হিটে ছিলেন মোট ছয়জন প্রতিযোগী। দৌড়ের শুরুতেই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এরপর আর এগিয়ে যেতে পারেননি। শেষ করতে হয়েছে সবার শেষে থেকেই। ফিনিশিং লাইন টাচ করেন ৫০.৯৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে। একরাশ হতাশা নিয়ে দৌড় শেষ করে বিশ্রাম নিতে চলে যান দিনাজপুরের এ স্প্রিন্টার। এমন পারফরম্যান্স হয়তো আশা করেননি আবু তালেব নিজেও। দেশের হয়ে পদক জয়ের স্বপ্ন তো দূরে থাক, চূড়ান্ত পর্বেও অংশ নেওয়ার আশা করেননি। তবে প্রত্যাশা ছিল অন্তত নিজের বেস্ট টাইমিংটা ছাড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্নটা কাল পূরণ হয়নি। নিজের রেকর্ডকেও ছুঁতে পারেননি জাকার্তায়। বরং আরো বেশি সময় নিয়েছেন। গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে একই ইভেন্টে স্বর্ণজয়ী এ স্প্রিন্টার সময় নিয়েছিলেন ৪৮.৯০ সেকেন্ড সময়।

দৌড় শেষে আবু তালেব বলেন, ‘এটাই আমার প্রথম আন্তর্জাতিক আসর। আজ আমি মোটেও ভালো করতে পারিনি। আমি আমার টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট নই। ফিনিশিং আরো ভালো করা উচিত ছিল। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে আমার বেস্ট টাইমিং ছিল ৪৮.৯০ সেকেন্ড। কিন্তু আজ সেটাও আমি করতে পারিনি।’ নিজের সেরা টাইমিং উতরে যেতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এশিয়ান গেমসে আসার জন্য আমার প্রস্তুতি বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু আসার আগে আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলাম। আসার পরও ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারিনি অসুস্থতার কারণে। আমার বাঁ পায়ের মাসলের দিকে ব্যথা ছিল। সে ব্যথা নিয়েই ট্র্যাকে নেমেছিলাম। সব কিছু মিলিয়ে আমি হতাশ।’ শুধু আবু তালেব একাই নন, তার পারফরম্যান্স দেখে হতাশায় আচ্ছন্ন ফেডারেশনও। এতটা বাজে শুরু কিংবা শেষ তারা আশা করেননি। হিট রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও আরো ভালো করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তারা।

উল্লেখ্য, এবারের আসরে আবু তালেবের সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু জহির রায়হানের ইনজুরির কারণেই কপাল খুলে যায় তার। কিন্তু সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। নিজেকে প্রমাণের বড় মঞ্চ থেকে ফিরেছেন হতাশার চাদরে আচ্ছন্ন হয়ে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads