• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
‘আমার মৃত্যুই হবে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ’

নাজমুল আহাম্মেদ নিহাতের স্বজনদের আহাজারি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ

আত্মহত্যার আগে লেখা স্ট্যাটাস

‘আমার মৃত্যুই হবে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ’

  • সুমন বর্মণ, নরসিংদী
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৮

‘আমি এখন ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করব। আমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাব।’ মৃত্যুর আগে নিহত নিহাত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব কথা লিখে গেছে। নরসিংদীতে মা-বাবা ও দাদা-দাদিকে সন্ত্রাসীরা লাঞ্ছিত করার গ্লানি সইতে না পেরে নবম শ্রেণির ছাত্র গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল আহাম্মেদ নিহাত (২৪) দত্তপাড়া এলাকার কবির আহাম্মেদের ছেলে। সে নরসিংদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় হত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ঘটনার পরপরই স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মামলা না করার জন্য নিহতের পরিবারকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে বলে দাবি স্বজনদের।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের দুই দিন পর বিকালে নিহত নিহাত বন্ধুদের নিয়ে পাশের বাড়ির বারবিকিউ পার্টি করতে যায়। একই সময় এলাকার সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান, রাব্বি, রূপক সেখানে যায়। এ সময় নিহাত তাদের চলে যেতে বলে। তাতে তারা রাজি হয়নি। ওই সময় বাড়ির মালিক সবাইকে ছাদ থেকে নামিয়ে দেয়। এতে নিহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসীরা। এরই জের ধরে সন্ত্রাসীরা নিহাতকে মারধর করে। খবর পেয়ে নিহাতের মা-বাবা ও দাদা-দাদি সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের সবাইকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে মনের দুঃখে গতকাল ভোরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে নিহাত।

মৃত্যুর আগে নিহাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছে, আমি এখন ফাঁসিতে ঝুলব। কারণ তারা আমাকে মার্ডার করে ফেলবে। সন্ত্রাসীরা আমার আব্বুকেও অপমান করেছে। আমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাব। দেখা হবে কবরে।

নিহতের বাবা কবির আহাম্মেদ বলেন, সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান রাব্বি, রূপক আমার ছেলেকে মারধর করছিল। খবর পেয়ে আমি ও আমার মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজন তাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদের সবাইকে মারধর করে। এই অপমান সইতে না পেরে নিহাত আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর জন্য সন্ত্রাসীরাই দায়ী। আমি এর বিচার চাই।

নরসিংদী শহর ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান বলেন, নিহতের ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads