ফিলিস্তিনে ইস্যুতে ৬ দফা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পথে বিক্ষোভকারীরা

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩০

ছয় দফা দাবি নিয়ে ‘আজাদ ফিলিস্তিনে’র ব্যানারে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৭০ ফুট দীর্ঘ ফিলিস্তিনের পতাকা ধরে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদেরকে।
‘ওয়ার্ল্ড স্টপ ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই কর্মসুচি। এ সময় ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্রম দা রিভার টু দা সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস'- ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকার একটা বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইলের বিপক্ষে কিন্তু সেখানে মার্কিন মদদের কোনো বিষয় উঠে আসেনি। এ ছাড়াও আমাদের পাসপোর্টে যে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ ছিল, সে কথাটিও পুনর্ব্যক্ত করার কোনো প্রতিফলন আমরা সরকারের বিবৃতিতে দেখতে পাইনি। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে অব্যাহতভাবে চলতে থাকা গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমরা আজাদ ফিলিস্তিনের সংগঠকরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। অনতিবিলম্বে আমাদের ছয় দফা দাবি মেনে নিতে হবে।’
‘আজাদ ফিলিস্তিনে’র ৬ দফা হলো
১. অনতিবিলম্বে মার্কিন মদদে গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠন ও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
২. আমেরিকান হাইকমিশনারকে তলব করে গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা করার জবাবদিহি চাইতে হবে।
৩. কালবিলম্ব না করে পাসপোর্টে পুনরায় ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ কথাটি ফিরিয়ে আনতে হবে।
৪. ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার অর্থের যোগানদাতা সব পণ্য ও সেবাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট করতে হবে এবং তাদের দোসরদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
৫. ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ইসরায়েল থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কেনাসহ অন্য যেসব গোপন চুক্তি করেছে তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে এবং ইসরায়েলের মতো একই বর্বর কায়দায় গণহত্যা চালানোর দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬. ইজরাইলের মতো একই বর্বর কায়দায় গণহত্যা চালানোর দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
এমআই/এমজে