• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সুন্দরবনের ছয় বনদস্যু বাহিনীর ৫৭ জনের আত্মসমর্পণ

খুলনার লবণচরায় গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন বনদস্যুদের এক সদস্য

বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

সুন্দরবনের ছয় বনদস্যু বাহিনীর ৫৭ জনের আত্মসমর্পণ

  • খুলনা ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০১৮

দীর্ঘদিনের দস্যুতার জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবনের প্রত্যয়ে খুলনার লবণচরা র্যাব-৬-এর কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সুন্দরবনের ছয় কুখ্যাত বনদস্যু বাহিনীর ৫৭ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়।

র্যাব-৬-এর আওতাধীন দাদা ভাই ওরফে রাজন বাহিনীর ১৫, হান্নান বাহিনীর ৯ এবং আমির আলী বাহিনীর ৭ সদস্য। র্যাব-৮-এর আওতাধীন সূর্য বাহিনীর ১০, ছোট সামসু বাহিনীর ৯ এবং মুন্না বাহিনীর ৭ সদস্য। তারা দেশি-বিদেশি ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ২৮৪ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে।

র্যাব-৬-এর খুলনার পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, খুলনা অঞ্চলের এই দস্যু বাহিনী সুন্দরবনের শ্যামনগর, আড়পাঙ্গাসিয়া, মোংলা, আন্ধারমানিক, হারবাড়িয়া, কলাগাছি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করত। বনের ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ রীতিমতো তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। তাদের মাসোয়ারা দিয়ে জেলে-মৌয়ালদের বনে প্রবেশ করতে হতো। এমনকি বনরক্ষীরাও তাদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকত।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে পর দস্যুদের দৌরাত্ম কমতে থাকে। একই সঙ্গে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এসব দস্যুরা আত্মসমর্পনের পথ খুঁজতে শুরু করে।  তিনি জানান,  ইতপূর্বে ২১৭ জলদস্যু এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশকে জঙ্গি, মাদক ও জলদস্যু-বনদস্যু মুক্ত করতে হবে। আর এ প্রত্যয়ে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। অতি শীঘ্রই সুন্দরবনকে জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি তিন হাজারের অধিক মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এসময় আগে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করা সাবেক ৫৮ জলদস্যু ও বনদস্যুর প্রত্যেককে পূর্নবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত এক লাখ টাকা করে চেক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, নৌপুলিশের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, র্যাব-৮-এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads