
সারাদেশের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও (কুবি) ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৯ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষার্থী মারুফ শেখ ও আরাফ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
মানববন্ধনে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জুলফা আক্তার বলেন, ‘আমরা সবাই আছিয়ার ধর্ষণের কাহিনি জানি। এমন অনেক ধর্ষণ হয় যার খবর আমরা জানি না। আমাদের সামনে আসে না, অনেকে ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ষকদের উপযুক্ত সাজা না হওয়া। ১০ হাজার ২০ হাজার টাকা দিয়ে, হুমকি-ধামকি দিয়ে তারা আবার মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের দাবি, আমরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, প্রকাশ্যে এনে যেন ফাঁসি দেওয়া হয় । যাতে আগামী দিনে কোনো ধর্ষক কাউকে ধর্ষণের কথা চিন্তাও করতে না পারে।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ভিতরে এক এবং বাহিরে আরেক। এধরনের মানুষকে প্রশাসন চিহ্নিত করুক। যাতে তারা ভবিষ্যতে পটেনশিয়াল রেপিস্ট হিসেবে না গড়ে ওঠে।’
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শীলা বলেন, ‘গভীর শোক এবং প্রতিবাদের ভাষাকে একত্র করার জন্য আজকে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির করাল ঘ্রাসের শিকার হচ্ছে নারীরা। আজকে একটা নারী শিশু ও ধর্ষকের হাত থেকে নিরাপদ না। ছোট শিশু আছিয়া জীবন কী, সেটা বুঝার আগেই তার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে ধর্ষকেরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যোরাল পলিসির নামে যে নারী হেনস্থা তা কোনোভাবেই কাম্য না। আমরা এই রহস্যের সমাপ্তি চাই। সুন্দর সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ চাই।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের মুখে ‘দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘ধর্ষকের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আবু সাঈদের বাংলায় ধষর্কের ঠাঁই নাই’, ‘চব্বিশের বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’— ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায়।
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রিফাত/এটিআর