বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
পুলিশ সক্রিয় না হওয়ার নেপথ্যে ৮ কারণ

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অর্থনীতি সংস্কারে আগ্রহ কম, কমিটিতে হতাশা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনীতি নিয়ে সংস্কারের দুটি প্রতিবেদন জমা পড়ে আছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশ বাস্তবায়নে জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে অর্থনীতিতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থনীতিতে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলাদা দুটি প্রতিবেদন তৈরি করিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একটি হলো বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরি শ্বেতপত্র। অন্যটি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র জমা দেওয়া হয় গত ১ ডিসেম্বর। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ৩০ জানুয়ারি। এর মধ্যে দুই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় কমিটির সদস্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঘুরছে কম কলকারখানার চাকা, উৎপাদনে ধাক্কা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাসের ঘাটতি দিনে প্রায় ১৩৫ কোটি ঘনফুট। গ্যাস-স্বল্পতায় সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে শিল্প খাত। এখন চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে শিল্পকারখানা। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলে এই সংকট দিন দিন বাড়ছেই। এতে ছেদ পড়ছে উৎপাদনে। বন্ধ হয়েছে শতাধিক কারখানা। অনেকটি বন্ধের পথে। বাধ্য হয়ে চলছে শ্রমিক ছাঁটাই। বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরা নানা দাবিতে প্রায় দিনই সড়ক অবরোধ, ভাঙচুরসহ বিক্ষোভ করছেন। উৎপাদনে ধাক্কা লাগায় কমছে পণ্য রপ্তানি, বিদেশ থেকে বাড়ছে কাঁচামাল আমদানি।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভোগান্তি এমন পর্যায়ে ঠেকেছে, কারখানা চালু রাখার চেয়ে বন্ধ রাখলেই লাভ। বারবার শিপমেন্ট বাতিল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন কারখানার গ্যাসের দর দ্বিগুণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়লে নতুন বিনিয়োগ আসবে না।
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, সহসাই গ্যাস সংকট দূর হবে না। আগে দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধানের চেয়ে আমদানিতেই সরকারের ঝোঁক ছিল বেশি। সম্ভাবনা থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস অনুসন্ধানে অবহেলা করা হয়েছে। এতে গ্যাসের উৎপাদন কমেছে। অন্যদিকে চাহিদা দিন দিন বেড়েছে। ফলে সংকট ঘনীভূত হয়েছে।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অসহনীয় যানজট, দুর্ভোগ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজানের বিকালে রাজধানীতে অসহনীয় যানজটে ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। অফিস শেষে ঘুরমুখো মানুষের চাপে প্রধান প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই সময় কাটাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সড়কের এই যানজটের চাপ পড়ে মেট্রোরেলেও। বিকালে মেট্রোতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই অবস্থা। লাইনে দাঁড়িয়ে এক বা একাধিক ট্রেন যাওয়ার পর যাওয়ার সুযোগ মিলে।
পবিত্র রমজান মাসে সরকারি অফিসের নতুন সময় অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া বাকি পাঁচদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস চলে। সরকারি ছাড়াও আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানও এই সময়সূচি অনুযায়ী অফিস করে। এতে করে বিকাল সাড়ে ৩টার পর থেকেই ইফতারের আগে বাসায় ফিরতে শুরু করেন নগরের বাসিন্দারা। ইফতারের ১৫-২০ মিনিট আগ পর্যন্তও সড়কে তীব্র চাপ দেখা যায় পরিবহনের। এতে বিকাল সাড়ে ৩টার আগে থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা অসহনীয় যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী।
এই সময় সড়কের যানজট গিয়ে ঠেকে ফ্লাইওভারেও। রাজধানীর গুলিস্তান, শাহবাগ, বাংলামোটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের এই চিত্র দেখা যায়। অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে গণপরিহনগুলোতেও যাত্রীদের চাপ থাকে অনেক। ইফতারের আগে বাদুরঝুলা হয়েও বাসায় ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘দল নিবন্ধনে তোড়জোড়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সময়সংকটের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দল নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা উল্লেখ করে আবেদন আহ্বান নাও করতে পারে। ইসির পক্ষে বলা হচ্ছে, গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদন আহ্বানের বিষয়টি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নয়। এরই মধ্যে অনেক দলের আবেদন জমা হয়েছে। গত বছর আগের ইসির কাছে আবেদন করে যেসব দল নিবন্ধন পায়নি সেসব দলের অনেকে তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানিয়েছে।
বর্তমান ইসি তাদের জানিয়ে দিয়েছে, নিবন্ধন চাইলে নতুন করে আবেদন করতে হবে। অন্তত ২৯টি দল নতুন করে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নতুন ১৩টি দল আবেদন করেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি দল ইসির সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন অপেক্ষা করছে আইন সংস্কারের।
আইন সংস্কার না হলে এবং দল নিবন্ধনের শর্তে কোনো পরিবর্তন না হলে বিদ্যমান আইনেই এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল ভোটের জন্য দল নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, আগে (২০০৮ সালের আগে) যেভাবে দল নিবন্ধন ছাড়াই নির্বাচন হতো সেভাবেই নির্বাচন হোক। আবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করার সুপারিশ রেখেছে।
আমার দেশ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘পুলিশ সক্রিয় না হওয়ার নেপথ্যে ৮ কারণ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাস পার হলেও পুলিশ তার কর্মকাণ্ডে পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারেনি। আর এই সুযোগে সক্রিয় হয়েছে অপরাধী চক্র। দিনে-দুপুরে ঘটছে খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটা দাগে আটটি কারণে পুলিশ পুরোপুরি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে না। প্রথমত, জুলাই ও আগস্টের গণআন্দোলনে পুলিশ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করার কারণে সারা দেশের মানুষের মধ্যে পুলিশের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এ কারণে তারা মাঠপর্যায়ে আর আগের মতো আমজনতার শ্রদ্ধা পাচ্ছে না। এটি পুলিশের মধ্যে একটি ট্রমা সৃষ্টি করেছে। এই ট্রমা এখনো কাটাতে পারেনি বাহিনীটি। এ কারণে পুলিশ তার কর্মকাণ্ডে শতভাগ সক্রিয় হতে পারেনি।
দ্বিতীয়ত, মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার কারণে কোনো বড় অভিযানে গেলে সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর চড়াও হতে পারে- এমন ভয় থাকায় তারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে না। ফলে অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আর এ কারণে বাড়ছে অপরাধের মাত্রা।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। প্রকাশ্যে যে যাই বলুক, পর্দার আড়ালে জোর কদমে শুরু হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। সোমবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভোট সম্ভবত এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের দিকে তফশিল, ডিসেম্বরে ভোট এবং জানুয়ারিতে সরকার গঠন-এমন লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনি রোডম্যাপ সাজানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। ভোটের মেরুকরণ কী হবে, কোন দলের সঙ্গে কার জোট হবে; কার সঙ্গে কোথায় আসন সমঝোতা হবে-এসব বিষয়েও আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন দলসহ অনেকেই তিনশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় এ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের কথা বলেছেন।
নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘প্রতিটি গুমের ঘটনা শেখ হাসিনার নির্দেশে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে গত ১৫-১৬ বছরে গুমের প্রতিটি ঘটনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। প্রতিটি গুমের ঘটনা সরকারের ওপরের নির্দেশে করা হয়েছে। ওপর বলতে তখনকার প্রধানমন্ত্রীই হবেন। মঙ্গলবার দুপুরে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমিশনে দাখিল করা গুম সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর মধ্যে ৭৪টি অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।
গুমের শিকার হয়ে খোঁজ না পাওয়া ৩৩০ ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান আছে।
এমবি