• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট পরীক্ষার নির্দেশ

জরুরী অবতরকৃত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনা

জরুরি অবতরণ তদন্তে দুই কমিটি

ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট পরীক্ষার নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজের চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি হয়েছে। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে ১১০ জন ‘ট্রমায়’ ভুগছেন। ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটের উড়োজাহাজটি গত বুধবার ১৭১ আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে। ঘটনা তদন্তে বুধবারই চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বেবিচক। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের (এএআইজি-বিডি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহকে। তিনি কমিটির বাকি তিন সদস্য নির্বাচন করবেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্তে তারাও কমিটি করেছে। কমিটিতে কতজন সদস্য রয়েছেন কিংবা কমিটির নেতৃত্বে কে আছেন- তা জানাননি তিনি। নিয়ম অনুযায়ী উড়োজাহাজটির নির্মাতা বোয়িংকেও দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের স্থানীয় এজেন্ট কারণ অনুসন্ধান কাজও শুরু করেছেন। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মহিবুল হক জানান, ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেবিচককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, জরুরি অবতরণ করা ইউএস-বাংলার যাত্রীদের মধ্যে ১১০ জন ‘সাইকোলজিক্যাল ট্রমায়’ ভুগছেন। উড়োজাহাজটি অবতরণের পর হুড়োহুড়ি করে নামার সময় পড়ে গিয়ে এবং পাখার আঘাতে ৪০ জন আহত হন। এদের কেউ হাতে, কেউ পায়ে আঘাত পেয়েছেন। কারো মাথা কিংবা শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গেছে। এদের মধ্যে ২৭ জনকে সামান্য ড্রেসিং করে দিতে হয়েছে, ১২ জনকে ব্যান্ডেজ দিতে হয়েছে। আহত এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে জানিয়ে ডা. সিদ্দিকী বলেন, ওই নারীর আগেই পা ফোলা ছিল। হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আরো সমস্যা হয়েছে। তাকে বিমানবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

দুর্ঘটনার পর সিভিল সার্জন আজিজুরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) জাকারিয়া গতকাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার টার্গেট ছিল নিরাপদে অবতরণ করে যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করা। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমার কো-পাইলটও যথেষ্ট বিচক্ষণ। তিনিও প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, বিমানবাহিনী সবাই সহযোগিতা দিয়েছে। সবার সহযোগিতায় একটি দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজের চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি হয়েছে। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে ১১০ জন ‘ট্রমায়’ ভুগছেন। ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটের উড়োজাহাজটি গত বুধবার ১৭১ আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে। ঘটনা তদন্তে বুধবারই চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বেবিচক। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের (এএআইজি-বিডি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহকে। তিনি কমিটির বাকি তিন সদস্য নির্বাচন করবেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্তে তারাও কমিটি করেছে। কমিটিতে কতজন সদস্য রয়েছেন কিংবা কমিটির নেতৃত্বে কে আছেন- তা জানাননি তিনি। নিয়ম অনুযায়ী উড়োজাহাজটির নির্মাতা বোয়িংকেও দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের স্থানীয় এজেন্ট কারণ অনুসন্ধান কাজও শুরু করেছেন। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মহিবুল হক জানান, ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেবিচককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, জরুরি অবতরণ করা ইউএস-বাংলার যাত্রীদের মধ্যে ১১০ জন ‘সাইকোলজিক্যাল ট্রমায়’ ভুগছেন। উড়োজাহাজটি অবতরণের পর হুড়োহুড়ি করে নামার সময় পড়ে গিয়ে এবং পাখার আঘাতে ৪০ জন আহত হন। এদের কেউ হাতে, কেউ পায়ে আঘাত পেয়েছেন। কারো মাথা কিংবা শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গেছে। এদের মধ্যে ২৭ জনকে সামান্য ড্রেসিং করে দিতে হয়েছে, ১২ জনকে ব্যান্ডেজ দিতে হয়েছে। আহত এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে জানিয়ে ডা. সিদ্দিকী বলেন, ওই নারীর আগেই পা ফোলা ছিল। হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আরো সমস্যা হয়েছে। তাকে বিমানবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

দুর্ঘটনার পর সিভিল সার্জন আজিজুরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) জাকারিয়া গতকাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার টার্গেট ছিল নিরাপদে অবতরণ করে যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করা। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমার কো-পাইলটও যথেষ্ট বিচক্ষণ। তিনিও প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, বিমানবাহিনী সবাই সহযোগিতা দিয়েছে। সবার সহযোগিতায় একটি দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads