• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
ঘোড়াঘাটে শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

শীতের কাপড় কিনতে ফুটপাতে ভিড় করেছে নিম্ন আয়ের মানুষ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ঘোড়াঘাটে শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

  • ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ জানুয়ারি ২০১৯

উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চেপে বসেছে শীত। আর এ শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষ লক্ষ্যে শীতের কাপড়ের দোকান।এতে কওে হাট-বাজারে গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের ভরসা ফুটপাত হলেও এখন ধনী-গরিব সবাই ঝুকছেন ফুটপাতের দিকে।আর বড় দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকান গুলোতেই মিলছে চাহিদা মত শীতের রকমারি পোশাক।তুলনামূলক কম দামে পছন্দ মতো পোশাক কিনতে তাইতো ফুটপাতে ভীর করছেন ক্রেতারা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘোড়াঘাট আজাদমোড় চত্তরের ফুটপাতে শীতের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন অর্ধশতাধিক দোকানী।এখানেই মিলছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী পুরুষের শীতের রকমারি পোশাক। দশ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার পোশাক রয়েছে এসব দোকান গুলোতে। রয়েছে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত পুরনো পোশাকও। তবে পুরনো কাপড়ের চাইতে নতুন কাপড়ের প্রতি ঝোক বেশি ক্রেতাদের। কারণ এসব ফুটপাতের দোকান গুলোতে নতুন কাপড়ের দাম তুলনা মূলক কম এবং আকর্ষনীয় ডিজাইনের হওয়ায় এগুলো সহজেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।

পোশাক কিনতে আসা আঃ খালেক জানান, এখানে অনেক অল্প দামে ভালো ভালো পোশাক কিনতে পাওয়া যায়। আমি মাত্র একশ বিশ টাকায় আমি আমার ছোট ছেলের জন্য জামা-পায়জামা মিলে দুই জোড়া পোশাক কিনেছি। গত হাটেও এই বাজার থেকে আমি আমার স্ত্রীর জন্য একশ চল্লিশ টাকা দিয়ে একটি সোয়েটার কিনেছি।

পোশাক বিক্রেতা ওয়ারেছ আলী ও হান্নান মিয়া জানান, প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যনÍ তারা এখানে দোকান খুলে বসেন।হাটের দিন তাদের কারো কারো বেচা বিক্রির পরিমান পনেরো হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়।ফুটপাতের এসব ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বড় বড় শহর থেকে এক সঙ্গে কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে সব বয়সী নারী পুরুষের বিভিন্ন পোশাক কিনে আনেন। এতে তাদের পাইকারী মূল্য ও পরিবহন খরচে অনেক সাশ্রয় হওয়ায় তারা স্বল্প মূল্যে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। এসব মিলে তাদের ব্যবসা বেশ ভালোই চলছে।তবে শীতের তীর্ব্রতা আরো বৃদ্ধি পেলে তাদের বেচা বিক্রি আরো জমে উঠবে বলে তাদের প্রত্যাশা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads