• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

দুর্গাপুরে জালাল হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

  • দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০২০

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সাবেক তিন তিনবারের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জালাল তালুকদার হত্যার প্রতিবাদ পরিষদের আয়োজনে পৌর শহরের উকিলপাড়ায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জালাল তালুকদারের পুত্র শাহ কুতুব তালুকদার রয়েল বলেন, ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভোররাতে নিজ শোবার ঘরেই নিহত হন আমার বাবা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার। হত্যার পর থেকেই আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা বেগম এ হত্যা দিকে ভিন্ন ভাবে প্রবাহিত করার জন্য কখনো আত্মহত্যা কখনোবা বাথরুমে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্নভাবে নাটক সাজায়। কিন্তু আমরা কেউই তার এই সাজানো নাটক পা না দিয়ে আমি নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা সংস্থার হাতবদল হয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলতে থাকে। সর্বশেষ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন সিআইডির প্রতিনিধিদল। কিন্তু আমি মহামান্য হাইকোর্টের কাছে মামলাটির জুডিশিয়াল তদন্তের তদন্তের জন্য আবেদন করি। মহামান্য হাইকোর্ট আমার আবেদনটি আমলে নিয়ে মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন। আজ দীর্ঘ তিন বছর পর ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই মামলার জুডিশিয়াল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আয়েশা বেগম এই মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেছে এবং সত্য ঘটনা আড়াল করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। ঘটনাস্থলে হত্যার বিভিন্ন আলামত নষ্ট করেন আয়েশা বেগম। জালাল তালুকদার প্রাণী ও সার্ভিকাল ডায়রিয়া রোগে ভুগছিলেন এবং উনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না। যেহেতু স্বাভাবিকভাবে তিনি তার হাত কান পর্যন্ত উঠাতে পারবেন না। এমন অবস্থায় তার ব্যক্তিগত রাইফেল ব্যবহার করে আত্মহত্যা করার মতো কোনো ঘটনা প্রতীয়মান হয়নি। এমন অবস্থায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা বেগমকে ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত করে হাজার ১৯ পাতার এই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। 

আমরা জালাল তালুকদার হত্যা প্রতিবাদ পরিষদ দ্রুতই আসামিদের আইনের কাঠগড়ায় রেখে কঠোর থেকে কঠোরতম বিচার দাবি করছি। জালাল উদ্দিন তালুকদার দুর্গাপুর কমলাকান্দা মানুষের আস্থার অন্যতম প্রতীক ছিলেন । রাজনীতি জীবনের বেশিরভাগ সময়ে তিনি মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন । অথচ জীবনের শেষ খুনিদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয় তার। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads