• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আবারো বন্ধের পথে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আবারো বন্ধের পথে

  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

তৈয়ব আলী সরকার, নীলফামারী

নীলফামারীর এক হাজার ১৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ ও শিশুদের পুষ্টির অভাব পূরণ করছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট। সরকারের অর্থায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত দেশের ১০৪ উপজেলার মতোর নীলফামারী জেলার পাঁচটি উপজেলায় (সৈয়দপুর বাদে) দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১২ সাল হতে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। প্রকল্পটি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সহযোগীর দায়িত্ব পালন করে আসছে। করোনাকালীন অভিভাবকদের আয় কমে যাওয়ায় প্রকল্পভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের খাদ্য ঘাটতি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উচ্চশক্তি সম্পন্ন বিস্কুট বিতরণ করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এসএমসির সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ আরডিআরএস বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জানা গেছে, ৩০ জুন ২০২১ মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রকল্পটির কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন বিস্কুট বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে মর্মে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ মেয়াদে বৃদ্ধি করা হয়। সূত্র মতে, বর্তমানে নীলফামারী জেলায় প্রকল্পভুক্ত এক হাজার ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখ ৯৫ হাজার ৪৬১ জন শিশুর মাঝে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন বিস্কুট বিতরণ করা হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ও প্রাণ চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পুনরায় প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে সারা দেশের ১০৪ উপজেলার প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট না পেয়ে অপুষ্টির শিকার হতে পারে।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংস্থা আরডিআরএসের প্রকল্প সমন্বয়কারী আনন্দ কুমার পাল বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি কিছুদিন বন্ধ থাকায় স্কুলগুলোতে উপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল, প্রকল্পটি প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। তিনি বলেন, প্রকল্পটির কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদি হলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা উপকৃত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads