আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ রাশিদা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা। এ হত্যাকাণ্ডে রাশিদার স্বামীসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহূত হাতুড়ি, দেশি অস্ত্র, চারটি মোবাইল ফোন, রক্তমাখা জামাকাপড়, জুতাসহ লাশ বহনকারী টেম্পো। গত শুক্রবার বিকেলে জেলার সহকারী জজ আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামানের আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলো- রাশিদার স্বামী তামিম শেখ। তার বন্ধু কোটালীপাড়া থানার তারাশি গ্রামের ইদ্রিস দাড়িয়ার ছেলে রুবেল দাড়িয়া ও গোপালগঞ্জের বেত গ্রামের মৃত সালাম শেখের ছেলে মাহেন্দ্রচালক জুলহাস শেখ। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে রাশিদা হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই আল আমিন শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, দাম্পত্যে কলহের জেরে রাশিদাকে হত্যার পরিকল্পনা করে তামিম শেখ। রাশিদা ও তার স্বামীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তামিম ও রাশিদার আগের ঘরের দুটি করে ছেলে সন্তান ছাড়াও এ সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রাশিদা আগৈলঝাড়া উপজেলার ১নং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তিন ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বাইপাস মহাসড়ক এলাকা থেকে রাশিদার রক্তাক্ত লাশ ও তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই তামিমের বাড়ি গোপালগঞ্জের বেত গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে রক্তমাখা পোশাকসহ আটক করা হয়।