• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
কুবরা ম্যাজিকে পাকিস্তান বধ

পাকিস্তানের আরো একটি উইকেটের পতন। উল্লাসে মত্ত সালমা-কুবরারা

ছবি : বিসিবি

ক্রিকেট

কুবরা ম্যাজিকে পাকিস্তান বধ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

খুবই লজ্জাজনকভাবে পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টিতে ০-৩ ম্যাচে সিরিজ হারে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে ওই লজ্জা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে একমাত্র ওয়ানডেতে রুমানা বাহিনীর স্বস্তির জয়ে। গতকাল সোমবার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দারুণ খেলে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটের সহজ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২১ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। একাই ৬ উইকেট নিয়ে অফস্পিনার খাদিজাতুল কুবরা হন ম্যাচসেরা।

আন্তর্জাতিক মহিলা ওয়ানডেতে ৫ উইকেট শিকারি কেউ ছিলেন না বাংলাদেশের। সেই আক্ষেপ ঘোচালেন খাদিজাতুল কুবরা। বাংলাদেশের মেয়েদের হয়ে পাঁচ উইকেটের প্রথম স্বাদই শুধু পাননি, আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছেন গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের আগের রেকর্ড ছিল রুমানার। তিনি ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন ২০ রানে। কুবরার এবারের কৃতিত্ব সব মিলিয়ে মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসের ষষ্ঠ সেরা বোলিং কীর্তি। মেয়েদের ওয়ানডেতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি প্রায় অবিশ্বাস্য। ২০০৩ সালে জাপানের আনকোরা মেয়েদের বিপক্ষে ৮ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাজিদা শাহ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হয়ে গেছেন কুবরা। ৩০ ম্যাচে তার উইকেট ৪২টি। এ ম্যাচের আগে ৩৭টি উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন রুমানা। এই ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে রুমানার উইকেট এখন ৩৬ ম্যাচে ৩৯টি।

টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের কাছে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৩৪.৫ ওভারে মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। খাদিজাতুল কুবরার স্পিনেই ধরাশায়ী হয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা। তবে শুরুটা পাকিস্তানের ছিল ধীরস্থিরভাবে। তারা ১২ ওভারে ৩৮ রান করেছিল বিনা উইকেটে। এরপর লতা মণ্ডলের আঘাতে মুনিবা আলী বিদায় নিলে নিয়মিত বিরতিতে আঘাত হানেন খাদিজা। টপ অর্ডারই মূলত প্রতিরোধ করেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে অধিনায়ক জাভেরিয়া খানের ব্যাট থেকে। তাকে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফিরিয়েছেন খাদিজা। ৯.৫ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন খাদিজা। দুটি নেন রুমানা আহমেদ।

৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভিন্ন কিছুই জানান দিচ্ছিল রুমানাদের ব্যাটিং। প্রথম বলে আয়েশা রহমান ও ৬ রানে শারমিন আক্তার ফিরে গেলে টি-টোয়েন্টির বিবর্ণ ব্যাটিং ঘুরেফিরে আসছিল। প্রতিকূল পরিস্থিতি পুরোটা সামাল দেন ফারজানা হক ও অধিনায়ক রুমানা হক মিলে। তাদের জুটিবদ্ধ ইনিংসে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে আচমকা দিয়ানার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রুমানা। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় রুমানা বিদায় নেন ৩৪ রান করে। রুমানা ৭০ বলে ২টি চারে করেন ওই রান। জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফারজানাও বিদায় নিলে কিছুটা বিলম্ব হয় সিরিজের একমাত্র প্রাপ্তিতে। ফারজানা বিদায় নেন হাফসেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থেকে। ফারজানা ৪৮ রান করেন ৮১ বলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত ২৯তম ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লতা মণ্ডল ও ফাহিমা খাতুন। পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট নেন সানা মির, একটি নেন দিয়ানা বেগ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান : ৯৪/১০, ৩৪.৫ ওভার (জাভেরিয়া ২৯, আয়েশা ১৮, মুনিবা ১৮, খাদিজা ৬/২০, রুমানা ২/১৫, জাহানারা ১/১৯, লতা ১/১১)। বাংলাদেশ : ৯৫/৪, ২৯ ওভার (ফারজানা ৪৮, রুমানা ৩৪, ফাহিমা অপরাজিত ৫, লতা অপরাজিত ৩, শারমিন ৩, সানা মীর ২/২০, দিয়ানা ১/১৮)। ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : খাদিজাতুল কুবরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads