• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
স্বাধীনতার শত্রু-মিত্র

সংগৃহীত ছবি

সম্পাদকীয়

স্বাধীনতার শত্রু-মিত্র

  • আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া
  • প্রকাশিত ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

আজ মহান বিজয় দিবস। আমরা গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের ৫০তম দিনে পদার্পণ করলাম। আর একটি বছর পরেই আমরা প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। আজ আমাদের দেশ সুবর্ণরেখায়। একসময় তলাহীন ঝুড়ি অপবাদ দিয়ে যেসব স্বার্থান্বেষী মহল দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত, তারাই আজ বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিনন্দন জানাচ্ছে, তোয়াজ করছে। আজ আমরা আত্মবিশ্বাস ও অহংকারের অভ্রভেদী দাপট নিয়ে উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বিচরণ করছি। আমরা জানি একটি জাতির গর্ব, একটি জাতির পরিচয় ও একটি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যের মূল্যায়ন হয় তার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে নিয়ে। অতীত থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি, বর্তমান জোগায় আমাদের প্রেরণা আর ভবিষ্যৎ করে আশার সঞ্চয়। আমরা একবার স্মরণ করতে চাই সেই হিরণ্ময় ক্ষণটির কথা, যেদিন বীর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সামনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৯৩ হাজার জওয়ান আত্মসমর্পণ করেছিল। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে যেসব পাকিস্তানি হায়েনা নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও এক কোটি বাঙালিকে পৈতৃক ভিটামাটি ছাড়া করেছিল, তারা ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাথা নিচু করে অজানা আশঙ্কায় প্রহর গুনতে থাকে। ঠিক সেই সময় আমাদের জাতির ইতিহাসে আরেকটি ট্র্যাজেডি জন্ম নিয়েছিল। টানা ৯ মাসের সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাভূত করে আমরা যখন স্বাধীনতার পতাকা হাতে উৎসব করছিলাম ঠিক তখনই এ দেশেরই কুখ্যাত পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস প্রভৃতি ঘৃণিত খুনিচক্র মুখ থেকে পায়েন্দাবাদের সুর স্তিমিত করে, ‘পাকসার জমিন সাদবাদ’কে লুকিয়ে রেখে ভোল পাল্টে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিজয় মিছিলে ঢুকে পড়েছিল। আমরা তখন তাদেরকে দেখতে পাইনি, চিনতে পারিনি অথবা দেখেও না দেখার ভান করেছি, চিনেও না চেনার ভান করেছি। তারপর আমরা সংবিৎ ফিরে পাই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট, যেদিন ইতিহাসের কাঁটা হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে। ঘাতকের কালো মেশিনগানের গুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল মানবতা, মানবসভ্যতা। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সামরিক স্বৈরাচারের প্রতিভূরা শুরু করেছিল জঘন্য ইতিহাস বিকৃতির পালা। আত্মপ্রতারণার গিলাফ দিয়ে জাতির আপাদমস্তক ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ছলচাতুরির কফিন দিয়ে দাফন করা হয়েছিল আমাদের যা কিছু গর্বের, যা কিছু অহংকারের- সবকিছুকে। জাতির পিতাসহ সব নেতার চরিত্র হরণ করে ইতিহাস থেকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। অপরদিকে কিছু খলনায়ককে ধরে এনে জাতির ইতিহাসে অভিষিক্ত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি, কারণ ইতিহাসে মিথ্যার কোনো স্থান নেই। মিথ্যা দিয়ে ইতিহাস রচনা করা যায় না।

তাই জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নেতারা কালের বর্তমান বিন্দুতে এসে কোটি কোটি মানুষের হূদয়ে শহীদ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে বিরাজ করছে। অন্যদিকে ইতিহাস বিকৃতকারীরা সবার অজান্তে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রান্তে এসে আজকের এই দিনে, বিজয় দিবসের মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির সম্মুখে আরেকটি প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার শত্রু-মিত্র কারা? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করলে মনে হতে পারে মুসলিম লীগের লোকেরাই আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। কারণ একদিন মুসলিম লীগ দেশভাগ করে পাকিস্তানের জন্মদানে কলকাঠি নেড়েছিল। সেই ’৪৭ থেকে ’৭১ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসকের লুণ্ঠন-শোষণ, নিপীড়ন-নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে বীর বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করায় মুসলিম লীগওয়ালাদের পূর্ব পাকিস্তান নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে গেছে। তাই বাংলাদেশের শত্রু হিসেবে মুসলিম লীগের কথা আসতে পারে। তবে বাস্তব বলে অন্য কথা। ’৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে হেরে গেলে এদেশের মুসলিম লীগারদের শিরদাঁড়া, কোমর, মাজা সবকিছু ভেঙেচুরে খান খান হয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার শক্তিসামর্থ্য মুসলিম লীগের আর নেই। এরপর আসতে পারে জামায়াতে ইসলামীর নাম। এই দলের লোকেরা পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে মিশে নির্বিচারে ৩০ লাখ মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা, ২ লাখ মা-বোনের রজনীগন্ধার মতো পবিত্রতা কলুষিত করায় খুনি নারী ধর্ষণকারী, লুণ্ঠন-অগ্নিসংযোগকারী প্রভৃতি অপবাদ মাথায় নিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ’৭৫-এর পটপরিবর্তনের পর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান ও পরবর্তীকালে খালেদা জিয়া দল ভারী, মসনদ দখল ও অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসন প্রলম্বিত করার মানসে জামায়াতকে কোলেপিঠে করে দুধকলা দিয়ে মোটাতাজা করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জামায়াত আজ রাজনীতির জাদুঘরে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। একইভাবে অন্যান্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যারা ধর্মের নামে তেজারতি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে চলছে, তাদের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার শক্তি বা সাহস থাকতে পারে না। তাই এসব ধর্মব্যবসায়ী সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু হওয়ার কোনো সামর্থ্যই রাখে না।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে বসে গণধিকৃত ও জনবিচ্ছিন্ন একটি লোভী কোটারিচক্রকে নিয়ে বিএনপি নামক যে দলটি গঠন করে, বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক কুচক্রীমহলের মদতে কিছুদিন মানুষকে হিপনোটাইজড করে ক্ষমতায় থাকলেও তারাও ইতিহাসের চাকাকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারেনি। কেবল কিছু সময়ের জন্য দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। তারপর ইতিহাসের স্বাভাবিক নিয়মে এই লোভী-দুর্নীতিবাজ শোষকচক্র তাদের কৃতকর্মের জন্য ইতিহাসের পাতা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এখন সেই নখদন্তহীন বিএনপি নেতৃত্ব নিজ নিজ গৃহে বসে মৃত ঘোড়ার বুক ডন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের পক্ষে আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু-মিত্র হওয়ার কোনো প্রেক্ষিত অবশিষ্ট নেই। আর যেসব দল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিল, তাদের কেউ কেউ বিভ্রান্ত-বিপথগামী হয়ে পথ হারিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে নিষ্প্রভ হয়ে আছে। তাই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে শত্রুতা করা তাদের পক্ষে নিষ্প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় আমাদের স্বাধীনতার শত্রু কারা? স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধশত বছরের কাছাকাছি এসে আমাদেরকে এর সঠিক উত্তর অবশ্যই জানতে হবে। আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে অন্তত চারটি অপশক্তিকে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতার নিরঙ্কুশ শত্রু বলে চিহ্নিত করতে পারি-

এক. দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতি : জাতির পিতাকে হত্যা করে যে সামরিক স্বৈরশাসক দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল এবং বীরদর্পে ঘোষণা করেছিল- “ও ংযধষষ সধশব ঢ়ড়ষরঃরপং ফরভভরপঁষঃ ভড়ৎ ঃযব ঢ়ড়ষরঃরপরধহং.“ তারাই বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে রোপণ করেছিল দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতির বিষবৃক্ষ, ইতিহাসের পরিক্রমায় সেই বিষবৃক্ষ আজ পত্রপল্লবে মহীরুহে পরিণত হয়েছে। যে স্বপ্নসাধ, যে আকাঙ্ক্ষা ও চেতনা নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম আজ রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের ফলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছা, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সময়ের দাবি হচ্ছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে স্বাধীনতার এক নম্বর শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ও নির্মূল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

দুই. লাগামহীন দুর্নীতি : গত ৫০ বছরে আমাদের যে অর্জন, তার সিংহভাগ কুরে কুরে খেয়েছে দুর্নীতিবাজরা। একাধিকবার হূদয় আঁতকে ওঠার মতো দুর্নীতির চিত্র ফাঁস হয়েছে। হল-মার্কের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা, ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ছয়শ কোটি টাকা এবং ওমপ্রকাশ আগরওয়ালের তিনশ কোটি টাকা আত্মসাৎ, শেয়ারবাজারের বিভীষিকাময় কেলেঙ্কারি- হাজার হাজার মানুষকে নিমিষেই পথে বসানো, ৫০ অপরাধীর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ক্রিসেন্ট ও থারমেক্স গ্রুপ মিলে ১১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা লোপাট, বেসিক ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা, বিসমিল্লাহ গ্রুপের লোপাট করা ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা, রিজার্ভ চুরির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হারিয়ে যাওয়া ৬৭৯ কোটি টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ও ফারমার্স ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংক থেকে ১৬৫ কোটি টাকা পাচার- যা শুনলেই দেশপ্রেমিক মানুষের হূদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

তিন. সন্ত্রাস : আজ গোটা দেশ সন্ত্রাসের কবলে। খবরের কাগজ হাতে নিলেই কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই অসংখ্য লোমহর্ষক সন্ত্রাসের কাহিনী মানুষকে নিথর-নিস্তব্ধ করে দেয়। স্বাধীনতার স্বপ্নকে এরাই ধূলিসাৎ করে দিতে চায়। এই সন্ত্রাস নির্মূল করতে না পারলে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ম্লান হয়ে যাবে, ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

চার. জঙ্গিবাদ : আবহমানকাল থেকে এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। কিন্তু ইতিহাসের একপর্যায়ে বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে জঙ্গিবাদ আমদানি করা হয়। লালন-পালন ও রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে এরা কেবল মানুষের বিরুদ্ধেই নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে। এমনকি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য যুদ্ধে ব্যবহূত ‘আরডেক্স গ্রেনেড’ হামলা চালিয়ে অন্তত ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আহত হয় শত শত মানুষ। এই একই জঙ্গিগোষ্ঠী দেশের ৬৩টি জেলায় একই সময়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এরা বিভিন্ন সময় বিচারকদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করে। জাতির পরম সৌভাগ্য জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে এলে জঙ্গি তৎপরতা স্তিমিত হয়ে পড়ে।

সুখের খবর হচ্ছে, আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান বিশ্বের অন্যতম রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা স্বাধীনতার শত্রুদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তিনি দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতির সৃষ্ট ক্যাসিনো সম্রাটসহ সারা দেশের ভয়ংকর দুর্নীতিবাজদের দমন করার এক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দুর্নীতির দায়ে, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির অপরাধে নিজ দলের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে দল ও অঙ্গসংগঠনের অনেক উঁচুমাপের নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছেন, কারাগারে প্রেরণ করেছেন। ক্যাসিনো সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা না করলে ইতোমধ্যে তা রাজধানী, শহর, বন্দর ছেড়ে উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত হতো।

দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সেই যুদ্ধ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে বটে তবে কোনোক্রমেই বন্ধ হয়নি। নিজের দলের নেতাকর্মী তথা ক্যাসিনো সম্রাটদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই যুদ্ধকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ‘ঋরমযঃ ঃড় ভরহরংয ধিৎ’. এই যুদ্ধে শেখ হাসিনার জন্য জয়ের কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা জিতলে গণতন্ত্র জিতবে, শেখ হাসিনা জিতলে রাজনীতি জিতবে, শেখ হাসিনা জিতলে জনগণ জিতবে, জাতি জিতবে, দেশ জিতবে। খোদা না করুন দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতির বিরুদ্ধে ঘোষিত এই যুদ্ধে যদি শেখ হাসিনাকে আপস করতে হয় তবে দেশ ও জাতির জন্য নেমে আসবে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। আজ বিজয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে স্বাধীনতার শত্রু-মিত্র কারা। চিহ্নিত শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করার মধ্য দিয়েই আমরা পালন করব আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

লেখক :

সম্পাদক, বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজ

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক, বাসস

সহ-সভাপতি জাতীয় প্রেস ক্লাব

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads