আগামী বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের এমন পূর্বাভাসের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িষা। ইতিমধ্যে রাজ্য দুটির উপকূলে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। হেলিকপ্টারে করে মৎস্যজীবী ও পণ্যবাহী জাহাজকে সতর্ক করছে তারা।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রবিবার বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় এলাকায় হেলিকপ্টারে করে নজরদারি চালায় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই সময়ে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে। আগেই যারা সমুদ্রে গেছেন তাদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সবাইকে নিকটবর্তী জেটিতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয়ের আগেই উপকূলের নিচু এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও ওড়িষার পারাদ্বীপের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য গতকাল রবিবার একটি বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ), টেলিকম, বিদ্যুত্, বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে যশ-এর মোকাবিলা করতে হবে, এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তা সবিস্তারে পর্যালোচনা করা হয়।
যত দ্রুত সম্ভব মানুষের কাছে গিয়ে ঝড় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া, বিপর্যয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো, সময়মতো মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঠেকানোর মতো বেশ কয়েক দফা পদক্ষেপের কথা উঠে আসে এই বৈঠকে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আর কী কী করা উচিত নয় সেই বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িষায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আরো ২০টি দল প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারাও উদ্ধার কাজে নামবে।