• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

দায় ও দায়িত্ব বেড়ে গেল শেখ হাসিনার 

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

গতকাল শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনটি অলঙ্কৃত করেছেন শেখ হাসিনা। অন্যভাবে বলা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলেন শেখ হাসিনা। বলতে দ্বিধা নেই গত দুই মেয়াদে তার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনেক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি উন্নত বাংলাদেশের পথে অগ্রসরমান হওয়ার আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, কৃষিজ উৎপাদন, যোগাযোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এ কথাও অনস্বীকার্য, আগের মেয়াদে দিনবদলের সনদ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালনে তিনি বিশ্বে নন্দিত হয়েছেন তিনি। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা প্রমাণে বিশ্ব নেতাদের কাছে শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা উচ্চ আসনে আসীন হয়েছে। বিশেষত গত দুই মেয়াদে বিডিআর বিদ্রোহ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলে শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকা বাংলাদেশের শাসনকর্তা হিসেবে দেশে এবং বহির্বিশ্বে অন্যমাত্রা পেয়েছে। শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে মনোযোগ বিচ্যুত হননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোটের পেট্রোলবোমার সন্ত্রাসী আন্দোলনকে তিনি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে এবং প্রত্যাবাসনের বিষয়েও তিনি দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূমিকায় বিশ্ব নেতাদের সমীহ অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এসব কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও দক্ষতা নিয়ে আর নানামাত্রিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই। তিনি গত দশ বছরে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন। দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে গ্রামে-গঞ্জেও। বাংলাদেশের আপামর জনগণ এখন উন্নত দেশের বাসিন্দা হওয়ার স্বপ্ন দেখে।

এবার তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব শুরুর প্রাক্কালেই তিনি বলেছেন, ‘দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’ তার এই বোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আমরা এ কথাটি বলতে পারি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দায় ও দায়িত্ব দুটিই বেড়েছে। আপনাকে আরো সচেতনতা ও সতর্কতার সঙ্গে দেশ চালাতে হবে। কারণ দেশের উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী সব অপশক্তিকেও মোকাবেলা করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। কেননা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আজকের বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরের কাণ্ডারি এখন একমাত্র আপনিই। দেশবাসীর সব চাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। আপনি সফলভাবেই উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চেতনাকে দেশের জনগণের মাঝে বুনে দিয়েছেন। দেশের মানুষ এখন উন্নয়নের পক্ষে। বিশেষত আমাদের তরুণ সমাজ উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের দেখতে চায়। সেজন্য আপনার দায় ও দায়িত্ব দুটিই বেড়েছে।

সে হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো বেগবান করা দরকার। এসব কাজের নির্মাণ খরচ, দুর্নীতি এবং কাজের মান (টেকসই) বিষয়ে মনোযোগ প্রত্যাশিত। সড়ক যোগাযোগ উন্নত হচ্ছে; কিন্তু কতটা টেকসই হচ্ছে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। রেল যোগাযোগকে আরো সর্বজনীন ও গতিময় করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। নদীগুলোর খননকাজ শুরু করতে হবে। নদীপথকে কেন্দ্র করে ঢাকার যোগাযোগে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে। জলবায়ু মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে তবে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। একই সঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষা এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে মনোযোগ দরকার। দেশের ব্যবসায়ী সমাজ উন্নয়নের পক্ষে একাট্টা হয়ে আপনাকে সমর্থন দিয়েছে। এ সুবাদে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বেসরকারি পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক নতুন কর্মক্ষেত্র এবং ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক তরুণের জন্য কাজের সুযোগ ঘটানো যেতে পারে। পাশাপাশি নতুন নতুন বিনিয়োগ ক্ষেত্র সৃষ্টি করে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা নিলে দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল হবে।

নতুন মেয়াদে বড় আরো বেশকিছু দায়-দায়িত্ব বিশেষ মনোযোগ জনপ্রত্যাশিত। যেমন- বেসামাল, বেপরোয়া ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে তাদের দেশগড়ার প্রত্যয়ে নিয়োজিত করা। তাদের সামাজিক ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা দরকার। দেশে আইনের শাসন নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। এজন্য আপনার প্রতি জনপ্রত্যাশাও অনেক বেড়েছে। তাই দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি। আর সেজন্য দেশের জনসংখ্যার হার, বিশ্ব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং বিশ্বের অস্থির রাজনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর বির্নির্মাণ খুব দরকার। জনগণের স্বাভাবিক ও স্বস্তির জীবন যাপনের জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্যে ভেজালবিরোধী বছরব্যাপী অভিযানের কলেবর আরো সুপরিসর করতে হবে।

এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম একটি স্লোগান- ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ যথার্থই ইতিবাচক ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। তাই গ্রামমুখী বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু থেকেই পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গ্রাম অনেক উন্নত হয়েছে। তারপরও বলব গ্রামের মানুষদের উপেক্ষা করে প্রকৃত উন্নয়ন অসম্ভব। গ্রামীণ পর্যায়ে বিশেষত কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। এসবকে কেন্দ্র করে  গ্রামীণ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। গ্রাম এলাকায় অন্তত উপজেলা পর্যায়ে কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা স্থাপনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ বিনিয়োগ বাড়লেই ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এলাকায় কাজ পেলে মানুষ আর শহরমুখী হবে না। শহরে মানুষের অযাচিত চাপ কমবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত। তাদের এই চেতনার আদর্শিক জাগরণকে ধরে রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর এই চেতনার সঙ্গে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের জনসম্পৃক্ততা আরো বাড়াতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা যেন দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয় রোধে তরুণ প্রজন্ম সবসময় চেতনায় উজ্জীবিত রাখে সেদিকে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে তবে জনসংখ্যার অনুপাতে তার পরিসর আরো অনেক বৃদ্ধি করা জরুরি। ঘরে-বাইরে নারীদের কর্মোপযোগী পরিবেশ ও উদ্যম সৃষ্টি করা দরকার। সেই সঙ্গে দরকার হাওর এবং পাহাড়ে উৎপাদনশীলতায় আরো নজর দেওয়া। কেননা ফল ও ফসল উৎপাদনে পাহাড় এবং ফসল ও মৎস্য উৎপাদনে হাওরের গুরুত্ব অপরিসীম।

বাঙালি জাতির হাজার বছরের মানবীয় মূল্যবোধ, আমাদের সংস্কৃতি, রাজনৈতিক আদর্শ আমাদের জাতিগত পরিচয়কে ম্লান করে দিচ্ছে হিংসা, অনাস্থা আর দ্রোহের আগুন। আমরা আমাদের আত্মপরিচয়ের জায়গাগুলোকে প্রতিহিংসার আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করছি চেতনা আর মানবীয় মূল্যবোধকে। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার নামে রাজনৈতিক নেতারা আস্থা হারাচ্ছেন জনগণের কাছে। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষায় ধৈর্য, ভিন্নমত গ্রহণে সহনশীলতা, আস্থা-বিশ্বাসের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি আমাদের রাজনীতিবিদদের জীবনচর্চায় একেবারেই অনুপস্থিত। মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জনগণই হলো রাজনীতির প্রধান প্রতিপাদ্য। রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর পেরিয়ে জনগণ চায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক, যার যার ধর্ম সে তার মতো পালন করুক। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন- ‘আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই।’ এখন দরকার শুধু কাজ আর কাজ। বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নে মডেল নয়- সঠিক নিয়মে পারিচালিত হলেও বাংলাদেশ হবে মানবীয় রাষ্ট্রেরও মডেল।

দক্ষিণ আফ্রিকায় শাসকগোষ্ঠীর চলমান অত্যাচার নির্যাতনের বিপক্ষে প্রতিবাদের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন মাদিবাখ্যাত নেলসন  ম্যান্ডেলা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত  হয়ে তিনি এককালের নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিলেন না। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করলেন। রাষ্ট্র পরিচালনা করলেন দক্ষতার সঙ্গে। দেশটির অর্থনৈতিক আদল পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখলেন। তারপর ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরে দাঁড়ালেন। ঘুরে বেড়ালেন, বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বিনিময় করলেন তার রাজনৈতিক দর্শন আর আদর্শের মূলমন্ত্র। এরপর ২০০৪ সালে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন। আর দুনিয়ার মানুষের উদ্দেশে বললেন- ‘তোমরা আমাকে খুঁজো না, আমিই তোমাদের খুঁজে নেব।’ রাজনীতি আদর্শ এমনই হওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। এ এক কঠিন পরীক্ষা তবে অসম্ভব নয়। এজন্য সবার আগে মন্ত্রিপরিষদকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে দুর্নীতি মুক্ত হওয়া বেশ কঠিন, অসম্ভব হলেও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা মোটেও কঠিন বা অসম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু ঠিকই বলেছিলেন, যত লোভ-লালসা আর ভোগ-বিলাসের সবকিছু যেন শিক্ষিত মানুষের মধ্যেই বেশি। স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে বহুমুখী কার্যক্রম শুরু করেও বঙ্গবন্ধু পদে পদে বাধাগ্রস্ত হন দুর্নীতির কারণে। শিক্ষিত সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষিত সমাজের কাছে আমার একটা কথা- আমরা শতকরা কতজন শিক্ষিত লোক? আমরা শতকরা ২০ জন শিক্ষিত লোক। এর মধ্যে সত্যিকার অর্থে আমরা শতকরা পাঁচজন শিক্ষিত। আপনাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন- আমি এই যে দুর্নীতির কথা বললাম, এসব কারা করে? আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? না। আমার শ্রমিক দুর্নীতিবাজ? না। তাহলে ঘুষ খায় কারা? ব্ল্যাক মার্কেটিং কারা করে? বিদেশে টাকা চালান দেয় কারা? এই আমরা যারা পাঁচ ভাগ শিক্ষিত। এই আমাদের মধ্যেই রয়েছে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ। আমাদের চরিত্রের সংশোধন করতে হবে। আত্মশুদ্ধি করতে হবে।’ তাহলে বোঝা গেল দুর্নীতি নামক রোগটি বাঙালি জাতির সঙ্গে মিশে আছে স্বাধীনতার আগে থেকেই। তাই দুর্নীতি নির্মূলের চেয়ে আগে গুরুত্ব দিতে হবে লাগাম টেনে ধরার দিকে। আবার মনে রাখতে হবে আদর্শের রাজনীতি যতদিন প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন দুর্নীতি থামানো যাবে না। সে জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সবার আগে জরুরি। সব পেশার ক্ষেত্রে পেশাগত সততা থাকতে হবে।

সবার আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দিতে হবে। জনগণের মাঝেও এই চেতনা ও মানসিকতার জাগরণ ঘটাতে হবে। নিয়ম মানার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

 

লেখক : কৃষি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads