সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার পরেও আর্দ্রতা বেড়ে আরও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। গত তিনদিনে রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এই বৃষ্টিপাত স্বস্তির বদলে উল্টো ভ্যাপসা গরমই বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সোমবার (২৩ জুন) আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সকালে রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দিন রবিবারও একই অনুপাতে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরম বেশি অনুভূত হয়। স্বল্প সময়ের বৃষ্টিতে তাই গরম কমছে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি বরং আর্দ্রতা বেড়ে গরমের আধিক্যতা আরও বেড়ে যায়।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, “বর্ষাকালে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। স্বল্পমেয়াদি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা খুব একটা কমে না। উল্টো বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় ঘামাভাব, ক্লান্তি এবং ভ্যাপসা গরম অনুভব হয়।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সিলেট, চট্টগ্রাম ও রংপুর অঞ্চলের কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়—১১৫ মিলিমিটার। অন্যদিকে গতকাল রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার জন্য একটানা ও ভারী বৃষ্টির প্রয়োজন।

আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভ্যাপসা গরমে সাধারণত ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতা বাড়তে পারে। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান ও সান প্রটেকশন মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এনএমএম/এএ