বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক জন্মোৎসব উদযাপিত
প্রকাশিত হলো ‘আলোর পথযাত্রী’

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:১১
-680bc2353c752.jpg)
প্রগতিশীল সাহিত্য সংঘের সভাপতি, লেখক, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হকের ৭২তম জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় কচিকাঁচার মেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য আনন্দ আয়োজন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কথামালা, কবিতা, গান ও আড্ডায় মুখর ছিল পুরো মিলনায়তন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক, গবেষক, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. তপন বাগচী, কবি-গবেষক বিলু কবীর এবং প্রবাসী সংগঠক ও সম্পাদক সাঈদ রিয়াজ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেতারের উপমহাপরিচালক (পিএলআর) ও খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী কামাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রগতিশীল সাহিত্য সংঘের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শোয়েব। সভাপতিত্ব করেন সংঘের সিনিয়র সহসভাপতি কবি ও নির্মাতা তৈয়েব রহমান।
আরও বক্তব্য রাখেন শিশুসাহিত্যিক ও প্রকাশক হুমায়ুর কবীর ঢালী, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার, ত্রৈমাসিক প্রগতির সম্পাদক ও প্রগতিশীল সাহিত্য সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক কবি শেলী সেলিনা, প্রগতিশীল সাহিত্য সংঘের অর্থ সম্পাদক কবি ও আবৃত্তিশিল্পী রোকসানা মহুয়া, প্রগতিশীল সাহিত্য সংঘের মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক কথাসাহিত্যিক বি এম এরশাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জিয়াউল হকের সাহিত্যকর্ম ও সমাজচেতনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনায় অংশ নেন অতিথিরা। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে জিয়া হকের সাহিত্য, গবেষণা ও প্রগতিশীল চেতনার কর্মকাণ্ড এবং নতুন প্রজন্মের জন্য তাঁর অনন্য ভূমিকার কথা।
এই দিনেই প্রকাশিত হয় প্রগতিশীল সাহিত্য সংঘ প্রকাশিত ত্রৈমাসিক প্রগতির জিয়াউল হককে নিবেদিত বিশেষ সংখ্যা ‘আলোর পথযাত্রী’। সংখ্যাটিতে তাঁর জীবন উল্লেখযোগ্য দিক, সাহিত্যকর্ম, স্মৃতিচারণা ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা স্থান পেয়েছে। এতে ৭৭ জন লেখকের লেখা স্থান পেয়েছে।
জন্মোৎসবের আয়োজনে ছিল আবৃত্তি, গান ও কবিতা পাঠ। নতুন প্রজন্মের লেখকদের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিকদের প্রাণবন্ত আড্ডায় মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক জন্মেছেন ১৯৫৪ সালের ১৩ই এপ্রিল। একাধারে তিনি কবি, কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা। সাহিত্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যাঙ্গনের এক শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।