রাজনীতিক ও শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঞাকে স্মরণ করে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘তিনি ছিলেন কলুষতামুক্ত রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন অসাধারণ।’

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আতাউর রহমান ভূঞাকে নিয়ে লেখা ‘শিক্ষকনেতা ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঞা’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘জনগণই ইতিহাসের নায়ক। তাদের ভূমিকাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। বালুর ফাউন্ডেশনের ওপর সংস্কার হয় না, কনক্রিটের ভিত্তি লাগে। সেই ভিত্তি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গড়তে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আতাউর রহমান ভূঞা আদর্শের সংগ্রামের বাতিঘর। তার সম্মোহনী বক্তৃতা আমাদের জন্য আজও অনুপ্রেরণা।’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বিশ্বমানব হতে হলে নিজের অস্তিত্বের ভিত্তি গড়ে তোলা জরুরি। আতাউর রহমান ভূঞা আদর্শ দিয়ে সেই ভিত্তি তৈরি করে গেছেন। রাজনীতিতে নৈতিকতার জায়গা প্রতিষ্ঠা করতে হলে তার সম্পর্কে জানতেই হবে।’

বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর। আরও বক্তব্য দেন আতাউর রহমান ভূঞার জামাতা ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিয়াজ হাসান খন্দকার, সাংবাদিক বাসুদেব ধর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)র সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ, বইয়ের লেখক রঞ্জিত কুমার সাহা এবং প্রকাশক নিখিলচন্দ্র শীল।

অনুষ্ঠানে আতাউর রহমান ভূঞার ছাত্র, সহকর্মী ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারাও স্মৃতিচারণ করেন। তারা বলেন, তিনি ছিলেন একাধারে খ্যাতিমান শিক্ষক, দক্ষ সংগঠক এবং জ্বালাময়ী বক্তা। তার বক্তব্য শুনতে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত।

বইটিতে আতাউর রহমান ভূঞার দেশপ্রেম, শিক্ষক আন্দোলনে ভূমিকা, রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নরসিংদীর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘রবিরশ্মি’র শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

এফএটি/এমএইচএস