
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। রোববার (২৫ মে) সকালে কবির সমাধিতে উদীচী নেতৃবৃন্দের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সন্ধ্যায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুরু হয় নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠান।
রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম আধুনিকতার পথিকৃৎ। তার কবিতা, গান, উপন্যাস, নাটকে উচ্চারিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতা ও সাম্যের বাণী। বিদ্রোহী এই কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে গান, কবিতা, পরিবেশন করে উদীচীর শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে কবির সাহিত্যকর্ম ও জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি হাবিবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান, কবি রহমান মুফিজ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরিফ নুর, উদীচীর অন্যতম সংগঠক দীনবন্ধু দাস, একরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য মীর সাখাওয়াত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, আজ আমরা শুধু একজন কবিকে স্মরণ করছি না—আমরা স্মরণ করছি সেই চেতনা ও সাহসকে, যা আজও আমাদের পথ দেখায়।
তারা বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন এক অনন্য প্রতিভা। তিনি একাধারে ছিলেন একজন কবি, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সৈনিক এবং সর্বোপরি একজন মানবতাবাদী। তার কলমে যেমন ছিল বিদ্রোহের আগুন, তেমনি ছিল ভালবাসার সুশীতল ছায়াও।
তিনি সাম্য, মানবতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার যে বার্তা দিয়ে গেছেন, তা আজকের সমাজে আগের চেয়ে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। যখন আমাদের সমাজে বৈষম্য, ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, তখন নজরুলের জীবনদর্শন আমাদের সঠিক পথের দিশা দেয়। সাম্যের ও মানবিক সমাজ গঠনের লড়াইয়ে নজরুলের রচনা আজও আমাদের শাণিত করে। তিনিই দেখিয়েছেন, সাহস নিয়ে সত্যের পক্ষে দাঁড়ালে কলমই হয়ে উঠতে পারে অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী।
ওএফ