Logo

শিল্প-সংস্কৃতি

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

Icon

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৩১

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের পিরুজালির নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে লেখকের কবর জিয়ারত ও স্মরণসভায় অংশ নেন তাঁর স্বজন, শুভানুধ্যায়ী এবং ভক্তরা।

লিচুতলার সবুজ নিসর্গে ঘেরা কবরে এদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূন। লেখকের আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হয় কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় মেহের আফরোজ শাওন জানান, শিগগিরই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইন পাবলিকেশনস থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশিত হবে। তাঁর লেখা উপন্যাস ইতোমধ্যে নানা ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শাওন বলেন, ‘এই অনুবাদ ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়াই প্রমাণ করে—হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য কেবল আমাদের একার নয়, এটি বিশ্বসাহিত্যেরও এক অনন্য সম্পদ।’

দীর্ঘদিন হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন অনেকেই জানান, নুহাশ পল্লী শুধু একটি জায়গা নয়, এটি তার সৃষ্টিকর্ম, ভালোবাসা ও জীবনদর্শনের প্রতিফলন।

এ সময় হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর নিয়েও কথা বলেন শাওন। তিনি জানান, জাদুঘরের কাঠামো হয়নি, তবে হুমায়ূনের স্মৃতিবিজড়িত যে জিনিস আছে সেগুলো সংরক্ষিত আছে। 

হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লীর পাশাপাশি লেখকের জন্মস্থানসহ সারা দেশে হুমায়ূনভক্তদের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেন হুমায়ূন আহমেদ। পরবর্তী কয়েক দশকে ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘দেয়াল’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘গৌরীপুর জংশন’, ‘লীলাবতী’সহ শতাধিক উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।

চলচ্চিত্র নির্মাণেও রেখেছেন অনন্য অবদান—‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’র মতো চলচ্চিত্র তাঁকে এনে দিয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা স্বীকৃতি। তাঁর সৃষ্ট ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ চরিত্রগুলো তরুণদের কল্পনার জগতে আজও জীবন্ত।

সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক (১৯৯৪), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪) সহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন।

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর