Logo

শিল্প-সংস্কৃতি

যে কারণে অমর একুশে বইমেলা এবার ডিসেম্বরে

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:০৮

যে কারণে অমর একুশে বইমেলা এবার ডিসেম্বরে

ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অমর একুশে বইমেলা এবার ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বাঙালির প্রাণের এ মেলা শুরু হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরে। যা চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির এক সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রস্তাব আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরই তা চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিসহ তিনটি প্রকাশনা সংগঠন লিখিতভাবে বইমেলা এগিয়ে আনার দাবি জানায়। সমিতি তিনটি সম্ভাব্য সময়ও প্রস্তাব করে— ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি এবং ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি।

প্রকাশকদের যুক্তি, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলার নিরাপত্তায় যথাযথ মনোযোগ দিতে পারবে না। তাছাড়া নির্বাচনের পরে বইমেলার আবহ নষ্ট হয়ে যাবে, আবহাওয়াও অনুকূলে থাকবে না।

প্রকাশক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক ও মেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আবুল বাশার ফিরোজ শেখ বলেন,  ‘ফেব্রুয়ারির পর বইমেলা হলে পাঠকের আগ্রহ হারাবে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারিই বইমেলার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।’

অন্যদিকে বই বিপণনকেন্দ্র ও প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের কর্ণধার দীপঙ্কর দাশ বইমেলার মেয়াদ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মতে, মাসব্যাপী আয়োজনের বদলে ১৫ দিনেই বইমেলা সীমাবদ্ধ রাখা হলে প্রকাশক, রাষ্ট্র ও আয়োজক— সবারই খরচ কমবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির আগে আয়োজন না করলে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও মানুষের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আবার এপ্রিলের দিকে ঝড়-বৃষ্টির কারণে মেলার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ডিসেম্বর-জানুয়ারিই সবচেয়ে যৌক্তিক সময়।’

তিনি আরও জানান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও বিষয়টিতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

এমএইচএস/এএ


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর