• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত জেলায় নিহত ৯

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৯

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ

‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত জেলায় নিহত ৯

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৮

সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার ৬ জন নিহত হওয়ার পর ফের গতকাল সোমবার ৯ জন নিহত হয়েছে। এসব অভিযানে বিভিন্ন পরিমাণে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ ও র্যাবের দাবি নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। কারো কারো বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, ঝিনাইদহ ও নরসিংদীতে র্যাবের গুলিতে চারজন এবং চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। আর যশোরে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক কারবারিদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমাদের ব্যুরো অফিস, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাজশাহী : পুঠিয়ার বেলপুকুরে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী (৪১) নিহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, চোরাচালান, অপহরণসহ ১১টি মামলা রয়েছে। র্যাব জানায়, র্যাবের টহল দল আমবাগানের দিকে অগ্রসর হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। তখন টহল দল পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত আলী মণ্ডল আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র্যাবের ২ সদস্য আহত হয়েছেন।

নরসিংদী : র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জেলার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমান আলী (৩৫) নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমান আলী নরসিংদী শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে। র্যাব জানায়, ইমান আলী ঘোড়াশালের খালিশারটেক এলাকায় বড় একটি ইয়াবার চালান লেনদেন করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ইমান আলীর সঙ্গে তার দুই সহযোগী ছিল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ইমান আলী গুলিবিদ্ধ হয়। আর বাকি দুজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমান আলীকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা : জীবননগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জনাব আলী (৩২) নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। জনাব আলী উথলী গ্রামের আমতলা পাড়ার জামাত আলীর ছেলে। রোববার রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার উথলী গ্রামের সন্ন্যাসীতলা মাঠের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধের সময় জীবননগর থানার ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রামবাসী এসে বন্দুকযুদ্ধে নিহত এলাকার চি‎‎হ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উথলী গ্রামের জনাব আলীর লাশ শনাক্ত করে। আহতরা হলেন- জীবননগর থানার এএসআই মিলন হোসেন, কনস্টেবল ওয়ালিদ রহমান এবং কনস্টেবল জুয়েল হোসেন।

ঝিনাইদহ : কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছব্দুল মণ্ডল (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সে নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। র্যাব জানায়, রোববার রাত দেড়টার দিকে র্যাব-৬-এর একটি টহল দল নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাঠে চেকপোস্ট বসিয়ে টহলে থাকাকালীন মাদকের চালান নিয়ে ছব্দুল মণ্ডল ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল। এ সময় র্যাব তাদের চ্যালেঞ্জ করলে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ছব্দুল মণ্ডল নিহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।

টাঙ্গাইল : র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল কালাম আজাদ (৪২) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে। রোববার রাতে র্যাব-১২-এর মাদকবিরোধী অভিযানের সময় দু’পক্ষের গুলিবিনিময়কালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কালাম আজাদ ঘাটাইল থানার পূর্ব পাকুটিয়ার মৃত আ. রহমান খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকের ৬টি মামলা রয়েছে। 

গাজীপুর : টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে। নিহত রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেস্তি রনি (২৭) টঙ্গীর এরশাদনগরের ৩ নম্বর ব্লকের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে নিমতলী মাঠ এলাকায় গোলাগুলিতে রনি নিহত হয় বলে টঙ্গী থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন।

যশোর : কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তারা হলো- শার্শা উপজেলার বাগআচড়া ইউনিয়নের মহিষাকুড়া গ্রামের হারুনার রশীদের ছেলে মুক্তাজুল ওরফে মুন্না (৩০), একই উপজেলার টেংরালী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে দুখে (৪৭) এবং চৌগাছা উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক (২৮)। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জানান, রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে যশোর শহরতলির শেখহাটি ও খোলাডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করছে- এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই স্থান দুটিতে যায়। এ সময় শেখহাটির নওয়াব আলীর খেজুর বাগান নামক স্থান থেকে দুটি মৃতদেহ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে খোলাডাঙ্গা মাঠের মধ্য থেকে এক মরদেহ ও ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও গুলির খোসা পাওয়ার কথাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads