কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনাটি প্রকাশ পায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে। মেইলে জানানো হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষার সব কোর্সের প্রশ্নফাঁস হয়েছে এবং এসব প্রশ্ন বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম এক নারী শিক্ষার্থীকে সরবরাহ করেছেন।

মেইলে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরসহ কিছু পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করা হয়, যার মেটাডেটা বিশ্লেষণে দেখা যায়, পিডিএফ ফাইলটি শিক্ষক কর্তৃক তৈরি করা হয়েছিল এবং তার ডিভাইস এবং তৈরি হওয়ার তারিখের তথ্যও পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ পরিস্থিতির কারণে আমরা পরীক্ষা স্থগিত করেছি। তবে মেইলটি বেনামি হওয়ায় সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। যদি শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ না দেন, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।’

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রভাষক জাকিয়া জাহান মুক্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি। তদন্তের পরই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর আমরা শিক্ষকরা মিলে এই ব্যাচের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী জানান, ‘আমরা বিষয়টি একাডেমিক কমিটির কাছে পাঠিয়েছি। তারা তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

রিফাত/এটিআর