জবির বৈশাখী মেলায় প্রথমবার যুক্ত হয়েছে ‘গ্রামীণ সংস্কৃতি’

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৫
-67fc7460864c3.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো’-এই প্রতিপাদ্যে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণে এবারের বর্ণাঢ্য নববর্ষ শোভাযাত্রার পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে বৈশাখী মেলা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
জানা গেছে, এবারের নববর্ষে শোভাযাত্রার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সংগীতানুষ্ঠান, ব্যান্ড সংগীত, কনসার্ট ও “ভেলুয়া সুন্দরী” পালা পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে। চলবে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনা উৎসব। এছাড়া এবারের নববর্ষে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতি।
শিক্ষার্থীরা বর্ষবরণ উপলক্ষে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে লোকজ শিল্পকর্ম তৈরি করছেন। এর মধ্যে রয়েছে বড় তালপাতার সেপাই, গরু ও গরুর গাড়ির কাঠামো। এছাড়া, সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগমি পাখি, লোকজ পাখি এবং বিভিন্ন আকারের পাখির মোটিফ তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়া এবারের নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনার জন্য দেওয়া হয়েছে স্টল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ফ্যাকাল্টি, মুক্তমঞ্চ ও রফিক ভবনের নিচে এ স্টলগুলো বসানো হয়েছে। ব্যান্ড মিউজিকের জন্য সায়েন্স ফ্যাকাল্টির মাঠে বানানো হয়েছে মঞ্চ।
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসাইন বলেন, ‘বর্ষবরণের প্রস্তুতির প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছি। আশা করছি ১৪ তারিখের আগেই সবকিছু সম্পন্ন করতে পারব।’
থিম নির্বাচনের পেছনের ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ মূলত বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ। তাই এবারের আয়োজনে আমরা গ্রামীণ সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি, যেন নতুন প্রজন্ম দেশের শেকড়ের সঙ্গে নিজেদের আরও গভীরভাবে যুক্ত করতে পারে।’
পরিদর্শনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এবারে নববর্ষ শুধু উদযাপন নয়, বরং এটি বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে তুলে ধরার এক সাংস্কৃতিক প্রয়াস হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। আশা করি, নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ হবে।’
জেএন/এমআই