Logo

ক্যাম্পাস

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ভিন্নধর্মী নববর্ষ উদযাপন

Icon

মুহাইমিনুল ইসলাম

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১৭

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ভিন্নধর্মী নববর্ষ উদযাপন

অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে সাজে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা। ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে সকালের নাস্তা করা। পছন্দের জামা পরে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়া। ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করা। গান-গল্প-আড্ডায় ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখা। এ সবের মাঝে এক ভিন্ন আঙ্গিকে নববর্ষ উৎযাপন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নতুন বছরের প্রথম দিনের আনন্দকে পথশিশুদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁরা। সামর্থের মধ্যে এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন জামা ও চকলেট বিতরণ করেছেন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সন উপলক্ষে এমন আয়োজন দেখা যায়। জানা যায়, এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স। উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন ছাত্র সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করেছেন বলে তিনি জানান।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স বলেন, আমরা শিক্ষার্থী অতটা সামর্থ আমাদের নেই। কিন্তু ক্যাম্পাসের আশপাশে এসব শিশুদের দেখে মায়া লাগে। মনে হয় ওরা যদি আমাদের ভাই কিংবা বোন হতো! তাই নিজেদের অর্থে ৩২ জন শিশু-কিশোরের মাঝে এ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপহার সামগ্রির মধ্যে ছিল বৈশাখের নতুন জামা, খাতা, কলম ও শিশুদের পছন্দের চকলেট। সেইসঙ্গে একটি করে জাতীয় পতাকা দেয়া হয়। উপহার পেয়ে অনুভূতি জানতে চাইলে আনন্দ ও লজ্জা মিশ্রিত কণ্ঠে সিনথিয়া নামে এক শিশু বলে, ‘আমার জামা পছন্দ হইছে! এই ভাইয়া অনেক ভালো। চকলেট দিছে। অনেক ভালোবাসে আমাকে।’

এ উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে  প্রিন্স বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের শত বছরের সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নববর্ষের উৎসবের সাথে আমরা বরাবরই নিজেদেরকে রাঙিয়ে তুলি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি প্রায়ই দেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা ঘোরাফেরা করে। যাদের জীবনে নেই কোন নববর্ষের আনন্দ আয়োজন। তাই সেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে নতুন পোশাক, চকলেট ও তাদের শিক্ষায় উৎসাহিত করতে কলম-খাতা এবং আমাদের গর্বের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছি। তাদের সাথে নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমরা ভবিষ্যতে যে ঐক্যবদ্ধ ও ইতিবাচক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি এই ক্ষুদ্র আয়োজন তারই প্রয়াসমাত্র।

এ উদ্যোগে বাস্তবায়নে কাজ করেছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য ইউসুফ ভূঁইয়া নীরব, রাকিব হোসেন, কবি জসিমউদ্দীন হলের ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল ওহেদ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আজিজুল হাকিম, বিজয় একাত্তর হলের ইমতিয়াজ আহমেদ রনি, খন্দকার শাহরিয়ার, মুজিব হলের সানজিদ ইসলাম, সূর্যসেন হলের সাব্বির হাসান, মুহসীন হলের রাকিবুল ইসলাম, মাহমুদ, ড. শহীদুল্লাহ্ হলের তারেকুজ্জামান, জগন্নাথ হলের প্রান্ত চৌধুরী, শামসুন্নাহার হলের নূর রাদিয়া তাহিয়াত, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিল্লুর, নিলয়, তামিম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের নাফিস, মার্কস মেডিকেলের আকিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়ের, নূর, শান্ত, জুনায়েদ, ঢাকা কলেজের মামুন, মিয়ারাজ, তিতুমীর কলেজের আরিফ, ঢাকা মহানগরের মাহফুজ, শাফিন, সিয়াম, মাহিবি, সানিম, জিহাদ, রতন, রাসেল প্রমুখ।

ডিআর/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর