জবিতে ফের গণবিজ্ঞপ্তি, আ.লীগ-ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি কেউ!

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ১৯:৫১

ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জুলাই-২৪ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ক্যাম্পাস ও এর বাহিরে সংঘটিত বেআইনি এবং সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও জমা পড়েনি একটিও অভিযোগ। ফলে তথ্য চেয়ে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে এ গণ-বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফের তথ্য চেয়েছে প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগকারীর তথ্য ও পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সাথে রক্ষা করে জুলাই আন্দোলনে গতবছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জবি'র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর বাহিরে সংঘটিত বেআইনি এবং সহিংস ঘটনায় জড়িত জবি'র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ২২মে'র মধ্যে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বরাবর মধ্যে তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগকারীর তথ্য ও পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সাথে রক্ষা শর্তে জুলাই আন্দোলনে গতবছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেআইনি এবং সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিগত কোনো প্রশাসকের বিরুদ্ধে কোন তথ্য জমা দেয়নি কেউ।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগও পাইনি। এ কারণে আবারও সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যদি অভিযোগ না পড়ে তবে অন্যভাবে দেখতে হবে।’
আ.লীগ-ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয়নি ছাত্র সংগঠনগুলো :
জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পত্র জমা দেয়নি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা তথ্য তৈরি করছি, তবে খুব শীঘ্রই তা জমা দিয়ে দেব।’
শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিকভাবে কোনো অভিযোগ দিই নি। দিবে কিনা সেটা আলোচনা করতে হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে অনেকের দেওয়ার কথা। আমাদের কারা কারা দিবে এটা খোঁজ নিতে হবে।’
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা এর আগে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সেগুলো পুনরায় একত্রিত করে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। খুব শীঘ্রই দিব।’
শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, এখনও কেউ অভিযোগ জমা দেয় নি। তবে তথ্য একত্রিত করে জলদিই দিবে।
নীরব ভূমিকায় সাদাদল :
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত মাসে তথ্য চাইলেও নীরব ভূমিকায় আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদলও। দলের পক্ষ থেকে জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংগঠনটি। তাদের বিরুদ্ধে দেয়নি কোনো অভিযোগও।
জেএন/এমআই