Logo

ক্যাম্পাস

উপদেষ্টা মাহফুজের আচরণ ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির মতো’ : জবি শিক্ষক

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ২১:০৭

উপদেষ্টা মাহফুজের আচরণ ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির মতো’ : জবি শিক্ষক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ্য করে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন দেশে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালানো যায় না। এর বিচার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই উপদেষ্টা ছাত্রদের কাতারে ছিলেন। আমরা তার কাছ থেকে সহানুভূতি আশা করেছিলাম, কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি। বিপ্লব যদি সফল না হতো, তুমি উপদেষ্টা হতে পারতে না। আর এখন তোমার আচরণ ফ্যাসিবাদী শক্তির মতো।’

ড. রইছ উদ্দীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কারও শক্তি নেই আমাদের বলপ্রয়োগে এখান থেকে সরিয়ে দেয়ার। দাবি মেনে নিলে দুই মিনিটেই আমরা চলে যাব। আর না মানলে ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই এখানেই থাকবো।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজেও অবস্থান পালন করেন। তাদের মুখে ছিল একের পর এক স্লোগান—‘আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়’, ‘বাজেট কাটছাট চলবে না’, ‘রক্ত নিলে রক্ত নে, জগন্নাথে হল দে’, ‘হামলার বিচার চাই’ ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে আন্দোলন চলছে। শিক্ষকদের সমর্থন পাওয়ার পর আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাকরাইলে প্রায় ৩০টি বাসে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্র হন।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি 

  • ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু।
  • প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন।
  • দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
  • ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাকরাইল মোড়েই অবস্থান চালিয়ে যাবেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জেএম/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর