Logo

ক্যাম্পাস

খুবির দূষিত পানি খেয়ে ফের শিক্ষার্থী অসুস্থ, চিকিৎসাব্যবস্থার সংকট স্পষ্ট

Icon

খুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১১:৫৯

খুবির দূষিত পানি খেয়ে ফের শিক্ষার্থী অসুস্থ, চিকিৎসাব্যবস্থার সংকট স্পষ্ট

অসুস্থ শিক্ষার্থী শ্রীকান্ত কুমার । ছবি : বাংলাদেশের খবর

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলের দূষিত পানি খেয়ে ফের অসুস্থ হয়েছেন স্কাল্পচার ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শ্রীকান্ত কুমার। এর আগেও এই হলে পানি সমস্যার কারণে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।

শ্রীকান্ত কুমার জানান, হলের ট্যাপ থেকে পানি পান করার পর থেকেই তার পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘পানিতে লালচে রঙের পোকা দেখা যায় এবং দুর্গন্ধও ছিল। সম্ভবত বিশুদ্ধকরণের জন্য যে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয় তা ঠিকভাবে কাজ করে না, ফলে পানি পুরোপুরি বিশুদ্ধ হয় না।’

এ বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মুক্তাদির রাহিন বলেন, ‘এটা প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও শতাধিক শিক্ষার্থী পানি সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পানি হচ্ছে জীবন, আমরা দ্রুত এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।’

শুধু পানি সমস্যাতেই সীমাবদ্ধ নয়, চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতাও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। সামিক স্বাধীন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘গতকাল রাতে যখন আমরা শ্রীকান্তকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে যাই, সেখানে কোনো ডাক্তার বা নার্স ছিল না বললেই চলে। একজন কর্মকর্তা ছিলেন, কিন্তু তিনি জানান তার ডিউটি রাত ১০টায় শেষ হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যদি রাত ১০টার পর অসুস্থ হই তাহলে কি আমাদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নেই? অসুস্থতা তো বন্ধ বা খোলার সময় দেখে আসে না!’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চিকিৎসা সংকট সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি আজ রাতেও টহলে বের হয়েছি এবং মেডিকেলে এসে সমস্যাগুলো স্বচক্ষে দেখেছি। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব।’

পানি সমস্যা নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পাঁচটি হলে ফিল্টার বসানোর কাজ শুরু করেছি। আজ বিকেলেই মালামাল আসবে। আমার হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দায়িত্বও বেশি। গতকাল রাত তিনটা পর্যন্ত আমি শ্রীকান্তের সঙ্গে সিটি মেডিকেলে ছিলাম এবং তার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করেছি। আজ সকালেও আমি তার খোঁজ নিয়েছি। পানি সমস্যা নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। যেহেতু কাজ চলমান আছে, আশা করছি দ্রুত স্থায়ী সমাধান হবে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা কাম্য।’

বিএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর