বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ মে) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মশিরুল ইসলামের স্বাক্ষরে একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যদি কারও কাছে দুর্নীতি বা অনিয়মসংক্রান্ত কোনো তথ্য বা প্রমাণ থাকে, তবে তা আগামী ৩০ জুন-২০২৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের সঙ্গে বিস্তারিত বিবরণ ও প্রমাণ সংযুক্ত করে সিলগালাকৃত খামে কমিটির আহ্বায়কের কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিগত দেড় দশকে নিয়োগ ও পদোন্নতির স্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনিয়মের অভিযোগ বারবার আসলেও তা নিয়ে কখনও প্রকাশ্য অনুসন্ধানে যাওয়া হয়নি। এই উদ্যোগের ফলে অবশেষে দীর্ঘদিনের দুর্নীতির জট খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।