-6831304149a9f.jpg)
নওমুসলিম আব্দুর রহমান ধ্রুব
এবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২৩ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের ইসলাম গ্রহণের কথা জানান ওই শিক্ষার্থী। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামের ছায়াতলে আসেন তিনি।
নওমুসলিম ওই শিক্ষার্থীর নাম এ আর ধ্রুব। তিনি জবির রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন তার নাম হয়েছে ‘আব্দুর রহমান ধ্রুব’। ঢাকা দায়রা জজ থেকে হলফনামার মাধ্যমে নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি।
হলফনামাতে ধ্রুব ঘোষণা করেছেন, ‘আমি জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং আইনত যে কোনো হলফ করার উপযুক্ত। আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমি আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। আমি জাতিতে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলাম। যদিও হিন্দু গোত্রে আমার জন্ম হইয়াছে কিন্তু আমি স্কুলে অধ্যায়নকাল থেকেই আমার হিন্দু ধর্মের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়।’
‘আমি হিন্দু পরিবারের সন্তান হইয়াও মুসলমান বন্ধু-বান্ধবের সহিত চলাফেরা এবং ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অব্যাহত যাতায়াত চলতে থাকে। যে কারণে হিন্দু ধর্মের সহিত আমার কিছুটা দূরত্ব তৈরী হয়। হিন্দু ধর্মের নিয়মকানুন আমার নিকট ভালো লাগে না। আমি ইসলামি বই-পুস্তক ও হিন্দু ধর্মে পুস্তক পড়ে অনেক ভেবে চিন্তে দেখেছি যে, ইসলাম ধর্ম হল একটি পূর্ণাঙ্গ ইহকাল ও পরকালের ধর্ম। ইসলাম ধর্মের মধ্যে পার্থিব শান্তি ও কল্যাণ রয়েছে।’
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সত্য খুঁজছেন, আমি শুধু বলব—একবার কুরআন পড়ুন খোলা মন নিয়ে। সত্য চাইলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পথ দেখাবেন। আমি সেই পথেই শান্তি পেয়েছি।’
ধ্রুব জানান, বহুদিন ধরে তিনি মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন এবং জীবনের নানা সংকটে পড়েছিলেন। সেই সময়গুলোতে তিনি একাধিকবার জীবনের আশা হারিয়ে ফেললেও প্রতিবারই এক অদৃশ্য শক্তি তাকে রক্ষা করেছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, যার উত্তর তিনি খুঁজে পান ইসলাম ধর্মে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, সবাই আমার এই সিদ্ধান্ত সহজভাবে নেবে না। তবে আমি চাই, আপনারা অন্তত একবার কোরআন পড়ুন—তর্কের জন্য নয়, সত্য জানার জন্য।’
- জান্নাতুন নাইম/এটিআর