রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে ছাত্রশিবিরের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জোটের নেতারা।

বুধবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা অভিযোগ করেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারউদ্দীনের দায়মুক্তির প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা মশাল মিছিলের আয়োজন করেন। একই সময় ছাত্রশিবিরের একটি মিছিল ঘন ঘন ওই এলাকায় প্রদক্ষিণ করতে থাকে। শিবিরের কর্মসূচি শেষে প্রায় ৪৫ মিনিট পর বাম ছাত্রজোট মিছিল শুরু করলে শিবিরের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের তারেক আশরাফসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন নেতারা।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা প্রক্টর কার্যালয়ে গেলে কোনো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বক্তারা বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি বরং সিসিটিভি ফুটেজ দেখছিলো, কিন্তু হামলা প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তারা আরও বলেন, হামলার ঘটনাকে ‘মারামারি’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে প্রশাসন। হামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানায় তারা।

নেতারা উপাচার্যের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তবে ভিসির অনুপস্থিতিতে প্রোভিসিরাও তেমনভাবে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রশাসনও আগের মতো ‘একটি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায়’ চলছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না হলে তারা প্রশাসনের অপসারণ দাবি করতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের রাবি সংসদের কোষাধ্যক্ষ কাউসার আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, বিপ্লবী ছাত্র-মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল।

এআরএস