Logo

ক্যাম্পাস

বেরোবি শিক্ষককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

Icon

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১৯:১৯

বেরোবি শিক্ষককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হককে ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে জুমার নামাজ শেষে ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বজনরা দাবি জানান— শিক্ষক মাহমুদুল হককে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়- এগুলো হলো মাহমুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মামলার নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন ও তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ এবং তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন থাকবে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহারিয়ার সোহাগ বলেন, আমাদের শিক্ষক মাহমুদুল হক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক, ইউএনবির সাবেক সাব-এডিটর। একজন আদর্শ শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীকে হয়রানিমূলক মামলায় জেলে পাঠানো অত্যন্ত লজ্জাজনক।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তাকে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’-এর একাধিক মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। অথচ তিনি শহীদ আবু সাঈদ হত্যার পর প্রথম শিক্ষক হিসেবে পুলিশের বিচার দাবি করেছিলেন। তিনিই বলেছিলেন, তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে দেওয়া যাবে না। সেই থেকেই তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইউসুফ বলেন, মাহমুদুল হক শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি সমাজ সচেতন, ন্যায়ভিত্তিক কণ্ঠস্বর। তাকে টার্গেট করে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা সমগ্র শিক্ষক সমাজের জন্য অশনিসংকেত।

মাহমুদুল হকের সহধর্মিণী মাসুবা হাসান মুন বলেন, আমার স্বামীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ, কিছু বলতে গেলে অপমান করার হুমকি দিয়েছে। এমন আচরণই প্রমাণ করে এই গ্রেপ্তার পরিকল্পিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের একটি কুচক্রী মহল এতে জড়িত। আমি প্রশাসনের কাছে তাদের শনাক্ত ও বিচারের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকার নিজ বাসা থেকে মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করে হাজিরহাট থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে যে মামলা দেখানো হয়েছে, সেটিকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করছেন তার পরিবার, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

গাজী আজম হোসেন/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর