শুধু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করিনি, দেশকে নতুনভাবে গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন হঠাৎ করে হয়নি; এটি একটি গণ-অভ্যুত্থান। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। যারাই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তারাই নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কেউ জেল খেটেছেন, কেউ প্রাণ দিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আজ এই দেশে গুমের একটি নতুন সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের উত্থানের পেছনে কিছু সাংবাদিকের ভূমিকা থাকলেও, আবার সেই সাংবাদিকরাই এর পতনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হাসিনাকে ‘কোটা রাজাকারেরা পাবে কিনা’ এমন প্রশ্ন করে যে সাংবাদিক সাহস দেখিয়েছেন, তিনি শুধু ফ্যাসিবাদকে প্রশ্নবিদ্ধই করেননি, বরং নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন।’

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে তৈরি একটি কার্টুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই শেয়ার করেছেন-এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জবিসাস সভাপতি ইমরান হোসাইন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মো. নিজামুল হক নাঈম, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জেএন/এমআই