-(21)-685943c6cc8d7.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) জাবি শাখা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) এক লিখিত প্রস্তাবনায় সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এই নামগুলো প্রস্তাব করে।
প্রস্তাবে বলা হয়, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কেবল আবাসনের জায়গা নয়; এটি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিচয়গত স্মারক হিসেবেও বিবেচিত। তাই হলগুলোর নাম হওয়া উচিত ন্যায়, মর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক।
প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নামটি ২১ নম্বর ছাত্র হলের জন্য। বাগছাস এই হলের নামকরণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে করার প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনটির ভাষ্যে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর সেনানী এবং দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের মাধ্যমে ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন।
বাকি প্রস্তাবিত নামগুলো হলো :
১৩ নম্বর ছাত্রী হল: ‘শহীদ নাফিসা-রিয়া হল’
প্রস্তাবে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাভারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাফিসা হোসেন মারওয়া। একই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জে র্যাব-পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ছয় বছর বয়সী শিশু রিয়া গোপ।
১৫ নম্বর ছাত্রী হল: ‘শহীদ ফেলানি খাতুন হল
’সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১৬ বছরের কিশোরী ফেলানির ঝুলন্ত মরদেহকে বাগছাস ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।
১০ নম্বর ছাত্র হল: ‘শহীদ শ্রাবণ-আলিফ হল’
গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে শহীদ হন শ্রাবণ গাজী ও আলিফ আহমেদ সিয়াম। তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এই নাম প্রস্তাব করা হয়।
বাগছাস জানায়, এসব নামকরণ শুধু শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো নয়, বরং ফ্যাসিবাদ, ভারতীয় আধিপত্য ও স্বৈরতন্ত্রবিরোধী ছাত্ররাজনীতির প্রতীকী প্রকাশ। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এই প্রস্তাবগুলো আলোচনায় এনে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
আমানউল্লাহ খান/এমআই