Logo

ক্যাম্পাস

বহিরাগতদের নিয়ে গোবিপ্রবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের শোডাউন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

Icon

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ২০:৩৯

বহিরাগতদের নিয়ে গোবিপ্রবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের শোডাউন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এই মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে গোবিপ্রবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল শোডাউন দেন। অধিকাংশ মোটরসাইকেলে বহিরাগতদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যদিও বাইক ও বহিরাগতদের প্রবেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা আছে, তবুও শোডাউনটি অনুষ্ঠিত হয় খোদ প্রক্টর কার্যালয়ের সামনেই। হর্ন বাজিয়ে উচ্চ শব্দদূষণ তৈরি করা হয়, যা চলমান ক্লাসে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসে উপস্থিত হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে।

শিক্ষার্থীরা জানান, শোডাউনের সময় ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। আবাসিক হল ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বাইকের হর্ন ও শব্দে স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ ব্যাহত হয়। পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বহিরাগতদের উপস্থিতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের স্পষ্ট চিত্র দেখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ ও শোডাউন নিয়ে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটায় ক্ষোভ জানিয়েছেন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে গোবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি দূর্জয় শুভ বলেন, ‘আজকের এই ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা অপ্রত্যাশিত। জুলাই ২৪ পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে বাইক শোডাউন মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে তাদের কার্যক্রম শিক্ষার্থীবান্ধব ও ইতিবাচক হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন আরিয়ান বলেন, ‘আজকের বাইক শোডাউনের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক তোহা বহিরাগতদের নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শোডাউন করেছেন। অতীতে এই ধরনের অপসংস্কৃতি ছাত্রলীগ চালু করেছিল, যা ক্যাম্পাস রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল। আজকের ঘটনা সেই পুরনো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা।’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঈনুদ্দিন সিফাত বলেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন যদি আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে আইন বাতিল করে দেওয়া উচিত। দুই দিন পরপর শিক্ষার্থীদের সামনে আইন নামের ‘মূলা’ ঝুলানো চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা একত্রিত হলে এই কাজের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।’

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজিব বলেন, ‘যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে, তাদের ডেকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

রাসেল হোসেন/সিডি/ 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর