‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’তে পাবিপ্রবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১:০৫
-686a90b5cd107.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মোড় ঘোড়ানো ঘটনা। এই ঘটনার স্মৃতি সংরক্ষণ ও তরুণ প্রজন্মকে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে মাসব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।’
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে :
৬ জুলাই শহীদ মাহবুব নিলয়ের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে পাবনা ও আশপাশের জেলার অন্যান্য শহীদদের কবর জিয়ারত কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
৭ জুলাই সকাল ১১টায় স্বাধীনতা চত্বর থেকে ক্যাম্পাস জুড়ে গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
১০ জুলাই সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
১২ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’ বিষয়ক কবিতা লেখা প্রতিযোগিতা (বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল পর্যায়ে) এবং ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
১৩ থেকে ২৫ জুলাই তিন মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও ক্লিপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে নিজেদের উপলব্ধি তুলে ধরবেন।
১৬ জুলাই বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ এবং ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে স্থায়ী বুকশেলফ উদ্বোধন করা হবে।
১৮ জুলাই বাদ জুমা পাবিপ্রবি থেকে পাবনা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে এবং টার্মিনালে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
২০ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত দেয়ালে শিক্ষার্থীরা গণঅভ্যুত্থান-ভিত্তিক চিত্র অঙ্কন করবেন।
১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং
৫ আগস্ট বিজয় র্যালি, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, সাধারণ সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘জুলাইয়ে আমাদের গল্প’ নামে ধারাবাহিক এই কর্মসূচিতে পাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও পাবনার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল বলেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শুধু ইতিহাস স্মরণ করছি না, বরং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নও দেখছি, যেখানে অন্যায়, বৈষম্য ও দুর্নীতি থাকবে না।’
এমএইচএস