জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ‘গণআন্দোলনে’ সংঘটিত ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। মাসব্যাপী চলা এ কর্মসূচি আন্দোলনের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গৃহীত নানা উদ্যোগের একটি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে একযোগে দাঁড়িয়েছিল। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করছি। সরকার তাদের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার যে ঐক্য আমরা তখন দেখেছি, সেটি যেন হারিয়ে না যায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।’

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা, ভর্তি ফি মওকুফ এবং কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স), অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গণস্বাক্ষরে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হুদা ও সদস্যসচিব সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহ বক্তব্য দেন। সঞ্চালনার দায়িত্বেও ছিলেন অলি উল্লাহ।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলবে ১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

এমএইচএস