জবিতে শিক্ষক-ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাগছাসের বিক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) শাখার তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনায় ৩ দফা দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভাস্কর্য চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচিটি শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না’, ‘যে হাত শিক্ষক মারে সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘মবোক্রেসির রাজনীতি এই ক্যাম্পাসে চলবে না’—এমন স্লোগান দেন। সমাবেশে বক্তারা শিক্ষক-ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।
২. ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাধীন নিরাপত্তা সেল গঠন।
৩. অছাত্র ও বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ সীমিত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
শাখা বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, একটি পক্ষ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে বারবার জড়িত হচ্ছে। আমরা আশা করি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করবে।
বাগছাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক নুরনবী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা ভেবেছিলাম ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই পুরোনো সহিংস রাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (জবি শাখা) সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, জোরজবরদস্তি, পেশিশক্তির মাধ্যমে যারা ছাত্র রাজনীতি চালাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেকের ওপর হামলা চালান ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী।
ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম হামলা ঠেকাতে গেলে তারাও লাঞ্ছনার শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বাগছাস শাখার সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকের ওপরও হামলার অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
- জান্নাতুন/এটিআর