জবিতে শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলা
তদন্ত কমিটি থেকে জবিশিসের সভাপতি-সম্পাদকের পদত্যাগ

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলা। ছবি : বাংলাদেশের খবর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।
কমিটির আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন পদত্যাগ করেন।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেই তো বিচারপ্রার্থী। আমি কীভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকি? আমি এ ঘটনার বিচার চাই। সুতরাং তদন্ত কমিটিতে আমার থাকা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। এখন আমি ও আমার ভুক্তভোগী সহকর্মীর পক্ষে কথা বলতে পারছি।
অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার সামনে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি নিজেই এর বিচার চাই। কোষাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, এ ঘটনায় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দীন পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিনকে স্থলাভিষিক্ত করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
এদিন বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘যেই হাত শিক্ষক মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘ছাত্রদলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘এক দুই তিন চার, অছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাড়’, "অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ম্যানেজমেন্টের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জবি প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’—এমন স্লোগান দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. এ কে এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম তাকে রক্ষা করতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
একইসাথে শাখা বাগছাসের সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুককেও ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে মারধর করা হয়।
জেএন/এমবি