Logo

ক্যাম্পাস

‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ মধ্যরাতে উত্তাল ইবি

Icon

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৭

‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ মধ্যরাতে উত্তাল ইবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আওয়ামী ন্যারেটিভ ধ্বংস করা 'ঐতিহাসিক ১৪ জুলাই' তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার! স্লোগানে 'প্রতীকী প্রতিবাদী মিছিল' করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় প্রাঙ্গণ থেকে এ প্রতীকী মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে শহীদ আনাস হল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে প্রতীকী মিছিলের সমাপ্তি করে তারা।

এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা আজকের এই দিনে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ৯ দফা এবং পরবর্তীতে ১ দফা আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা এই দেশ থেকে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছিল। আমাদের আজকের এই মিছিলটা গত বছরের সেই দিনটিরই একটি প্রতীক মাত্র।’

এসময় ইবি শাখার অপর সহসমন্বয়ক ইয়াশীরুল কবির সৌরভ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের জন্য আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ ঐতিহাসিক দিনেই আমাদের আন্দোলন তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল। আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা যে আন্দোলনে নেমেছিলাম, স্বৈরাচার সরকার সেই আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তারই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ যে শিক্ষার্থীরা সেদিন পর্যন্ত আন্দোলনে যুক্ত ছিল না তারাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা সেদিন রাজাকার শব্দটিকে তাদের প্রতিক্রিয়ার ভাষা হিসেবে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। সারাদেশের ন্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন মাত্র ১৫ মিনিটের ঘোষণায় মিছিল বের হয়েছিল। আজকের মিছিলটি তারই একটি প্রতীক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই জুলাইকে প্রতীক হিসেবে ধারণ করে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে আওয়ামী ন্যারেটিভকে ধ্বংস করা হবে।’

  • শাহরিয়ার স্বাধীন/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জুলাই অভ্যুত্থান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর