জাবিতে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী মিছিল

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫২

ছবি : সংগৃহীত
‘রক্তাক্ত জুলাইয়ের শপথ, জাহাঙ্গীরনগর মানেই প্রতিরোধ’ এ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত বছরের ১৪ জুলাইয়ের ঘটনার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রতিবাদী জমায়েত এবং প্রতীকী মিছিলসহ স্মারকস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনে শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে গত জুলাইয়ে জাবি সম্পর্কিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ সেখানে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে রাত দশটার দিকে বটতলা এলাকা থেকে প্রতীকী মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে, আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’, ‘কে বলেছে, কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার?’, ‘শাহবাগের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘এক, দুই, তিন, চার— হাসিনা তুই স্বৈরাচার’সহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আখ্যা দেন। এর প্রতিবাদে ওইদিন রাতেই জাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী মিছিল করেন। সেসময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডাইনিংয়ে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাত্রলীগ। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে হলে যান। এতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান হয় এবং হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ওইসময় সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ বলেন, “আমরা জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সবসময় ধারণ করি। এ ঐক্য থেকে বাংলাদেশে যেকোনো অপশক্তি ও পেশিশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১৫ জুলাইকে ‘কালরাত্রি’ ঘোষণা করেছে। এই উপলক্ষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, স্মৃতিচারণ এবং মোমবাতি প্রজ্বলনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “জুলাইয়ের ঘটনার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
আমানউল্লাহ খান/এএ