Logo

ক্যাম্পাস

৭২-এর সংবিধানের ফ্রেমের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিজম তৈরি হয়েছে : মির্জা গালিব

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫৫

৭২-এর সংবিধানের ফ্রেমের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিজম তৈরি হয়েছে : মির্জা গালিব

ছবি : বাংলাদেশের খবর

৭২-এর সংবিধানের ফ্রেমের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিজম তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. মির্জা গালিব।

তিনি বলেন, আমাদের ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’কে সামনে রেখে ৭২-এর সাংবিধানিক ফ্রেমওয়ার্ককে প্রশ্ন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি) আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মির্জা গালিব বলেন, জুলাইকে আমাদের এমন একটা জায়গায় রাখতে হবে, যেখান থেকে আমরা জুলাইয়ের পেছনে না যাই। এক্ষেত্রে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র লাগবে। যা সংবিধানের অংশ হতে হবে। আর এ ঘোষণাপত্রকে সামনে রেখে ৭২-এর সাংবিধানিক ফ্রেমওয়ার্ককে প্রশ্ন করে এগোতে হবে। তা না করতে পারলে জুলাইয়ের পেছনে ফেরত যাওয়ার পথ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিচার বিভাগের বিভাজন প্রয়োজন। বিচার বিভাগের উপর নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব থাকবে না। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ ইন্টারকানেক্টেড থাকবে। কিন্তু কোনোটা কোনোটাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না।

সংসদের উচ্চকক্ষের দরকার উল্লেখ করে মির্জা গালিব বলেন, উচ্চকক্ষে প্রধান বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টি দেওয়া উচিত। কিছু ক্ষমতা উচ্চকক্ষে দিলে নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের মধ্যে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স আসবে।

ড. গালিব আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দলগুলোকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। দলের মধ্যে ওপেন ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। দলের সব জায়গায় সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের পরও আমাদের ভোটিং প্যাটার্নে পরিবর্তন করতে হবে। আগে কত বড় নেতা, অন্য দলকে কত গালাগালি করতে পারে—এসব দেখে ভোট দেওয়া হতো। এখন দেখতে হবে, তারা যে কথা বলে, সেই অনুযায়ী কাজ করছে কিনা। এগুলো এ প্রজন্মকে নজরে রাখতে হবে। এ সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে।

তরুণ প্রজন্মই এ রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩০-৩৫ শতাংশ তরুণ। এ তরুণদের যদি ভালো কোনো রাজনৈতিক দল নার্সিং করে, তাহলে এরা দেশের জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে। এক্ষেত্রে ভোটিং প্যাটার্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বিলাল হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেএন/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর