জবি শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি আটকে আছে অর্থছাড়ে
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:১৩
-6880615e9230c.jpg)
আবাসন সুবিধা না থাকায় আন্দোলনে নামা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বাজেটে অনুমোদিত ‘সম্পূরক বৃত্তি’ কার্যকর করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সম্মত হলেও অর্থছাড় না হওয়ায় এখনো আটকে আছে এই বহুল প্রত্যাশিত সহায়তা।
গত ১৪ মে শুরু হওয়া ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে তিন দফা দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মাসিক আবাসন ভাতা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প একনেকে পাশ করা। ১৬ মে কাকরাইল মোড়ে গণঅনশনরত শিক্ষার্থীদের সামনে ইউজিসি চেয়ারম্যান এসে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত হয়।
তবে ইউজিসির বাজেটে ‘আবাসন ভাতা’ নামে কোনো নির্দিষ্ট খাত না থাকায় ‘সম্পূরক বৃত্তি’ শিরোনামে শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় জানানো হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১৮.৮৪ শতাংশ। বৃত্তিটি জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলা হলেও এখনো অর্থছাড় না হওয়ায় বাস্তবায়ন ঝুলে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, এই বরাদ্দ অর্থ ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রক্রিয়ায় ছাড় হয় এবং এটি সম্পন্ন হতে কিছু সময় লাগে। ইতোমধ্যে বৃত্তি বণ্টন বিষয়ে কোষাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা বৃত্তি প্রাপ্তির মানদণ্ড, প্রক্রিয়া ও নীতিমালা চূড়ান্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘পুরান ঢাকায় একটি টিউশনের টাকাতেই মাসের বাসা ভাড়া চলে যায়। অনেকেই একবেলা খেয়ে দিন পার করে। এই বৃত্তি চালু হলে আমরা একটু স্বস্তিতে বাঁচতে পারব।’
কোষাধ্যক্ষ ও বৃত্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘বাজেট অনুমোদন হয়েছে, এখন অর্থছাড়ের অপেক্ষা। অর্থ পেলেই নীতিমালা চূড়ান্ত করে বৃত্তি বিতরণ শুরু হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা কাজ করছি। নিয়মিত শিক্ষার্থীরা এই সম্পূরক বৃত্তি পাবে।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনাবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনের অভাবে পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এই বৃত্তি চালু না হলে দুর্দশা কাটবে না।
জেএন/এমএইচএস