আ.লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা করছে বামপন্থীরা : ঢাবি ছাত্রশিবির

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৯

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ন্যায়সঙ্গত প্রমাণ করার মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বামপন্থীরা— এমন অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
ফরহাদ বলেন, ‘আজকের মব সৃষ্টির ফ্রেমটা ১৯৭১ বনাম ২০২৪ নয়। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যার বৈধতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা, যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে। শাহবাগ ও বাকশালকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাহবাগ কায়েম করে আমাদের হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে, আয়না ঘরে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা দমে যাইনি। আগামীতেও শাহবাগ কায়েমের নামে নতুন ষড়যন্ত্র হলে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার বিরুদ্ধেই থাকবো।’
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক টিকে থাকার স্বার্থে বামপন্থীরা ‘বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মতিউর রহমান নিজামীসহ যারা বিচারিক হত্যার শিকার হয়েছেন, তার দায় শুধু শেখ হাসিনার নয়, শাহবাগের ফ্যাসিবাদী দোসরদেরও; যারা ১০-১২টি সংগঠন থেকে ২০-২৫ জন করে আজ টিএসসিতে এসেছে।’
ফরহাদের অভিযোগ, বামপন্থীরা ‘ট্যাগ’ বা ‘তকমা’ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অন্যদের দমন করে আসছে এবং আজকের আয়োজনকে কেন্দ্র করে যারা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মব গঠন করেছে, তারা প্রত্যেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের পদধারী নেতা-কর্মী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিবির আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই’ শীর্ষক আয়োজনে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের ছবি প্রদর্শন করা হলে বাম সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছবি সরিয়ে নেয়। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
শিবিরের এই আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরা, শহীদ ও আহত পরিবারের স্মৃতিচারণ, বিপ্লবী কবিতা ও গান, নাটক, মাইম, প্ল্যানচেট বিতর্কসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথম দিন দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেস’ নামে নির্মিত একটি ব্যতিক্রমধর্মী ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, যাতে তুলে ধরা হয় রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের চিত্র এবং শহীদদের প্রতিরোধগাথা।
এমএমআই/এমএইচএস